কুমিল্লার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড গ্রেপ্তার

ফানাম নিউজ
  ২০ অক্টোবর ২০২১, ১৬:২৬

কুমিল্লায় মন্দিরে হামলার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা উপলক্ষে মন্দিরে হামলা চালিয়েছে। সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় ৭১টি মামলা করা হয়েছে। কুমিল্লায় হামলার পেছনের অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ডকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তার করার তথ্য জানানো হলেও তার নাম-পরিচয়, কবে ও কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- সেই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ‘মাস্টারমাইন্ড’ গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমার কাছে যতটুকু তথ্য ছিল দিয়েছি। এরপর আরও তথ্য পেলে জানিয়ে দেওয়া হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের মানুষ যখন আনন্দের সঙ্গে দুর্গাপূজা উদযাপন করছিল, তখন দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মীয় স্থান এবং মূর্তিগুলোতে হামলার খবর আসে। সরকার সেসব ঘটনার নিন্দা জানায়। এসব ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ভেতরে ও বাইরে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) বাহিনী দেশের ২২টি জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নিজেই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি যেকোনো প্ররোচনায় সংযত থাকার এবং ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো বা এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সবাইকে যে কোন মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারের সিনিয়র নেতারা বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা এবং ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর বিষয়ে ৭১টি মামলা করা হয়েছে। কুমিল্লায় হামলার পেছনের অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ডকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, ৫০ বছর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী স্থানীয় শক্তিগুলো এখনো সহিংসতা, বিদ্বেষ ও গোঁড়ামিকে উসকে দিতে তাদের বিষাক্ত মত প্রচার করছে। তারা দেশের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসবকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ধর্ম নিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক এবং বহুত্ববাদী সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করছে।