যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমার আবেদন নাকচ

ফানাম নিউজ
  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৯

ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণী শামীমা বেগম স্কুলের দুই বান্ধবীসহ ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিরিয়ায় গিয়েছিলেন। পরে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে ব্রিটিশ সরকার।

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন বর্তমানে ২৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সেই আবেদন নাকচ করে দেন লন্ডনের আপিল আদালত। শামীমার আইনজীবীরা পাঁচটি যুক্তি তুলে ধরেছিলেন। সবগুলোই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

রায় দেওয়ার সময় বিচারক সু কা বলেন, এই যুক্তি দেওয়া যেতে পারে যে, শামীমা বেগমের মামলায় দেওয়া সিদ্ধান্তটি কঠোর ছিল, এটিও যুক্তি দেওয়া যেতে পারে যে, বেগম নিজেই নিজের দুর্ভাগ্যের জন্য দায়ী৷

তিনি বলেন, কিন্তু এই আদালতের কাজ উভয় দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত হওয়া বা না হওয়া নয়, আমাদের একমাত্র কাজ হলো বঞ্চনার সিদ্ধান্তটি বেআইনি ছিল কি না, তা মূল্যায়ন করা। আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, এটি (বেআইনি) ছিল না এবং আপিল খারিজ করা হয়েছে।

শামীমা চাইলে এখন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারবেন।

২০১৯ সালে সিরিয়ার এক শরণার্থী শিবিরে শামীমা বেগমের ছবি প্রকাশ হওয়ার পর তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেছিল ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এর বিরুদ্ধে গত অক্টোবরে আপিল করেছিলেন শামীমা।

সিরিয়া গিয়ে শামীমা এক আইএস সদস্যকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের তিন সন্তান হয়েছিল, যদিও কেউই বাঁচে নেই।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার পর শামীমা বলেছিলেন, তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন। কিন্তু ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের একটি ট্রাইব্যুনাল রায় দেয় যে, তিনি রাষ্ট্রহীন নন, কারণ যখন তার নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয় তখন বাংলাদেশি মায়ের কারণে তিনি ‘বংশসূত্রে বাংলাদেশের একজন নাগরিক’ ছিলেন।

এরপর ‘স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিলস কমিশনে করা চ্যালেঞ্জ গত বছর হেরে যান শামীমা। তিনি বর্তমানে সিরিয়ার এক শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন।

আইএস-এ যোগ দিতে প্রায় ৯০০ মানুষ ব্রিটেন থেকে সিরিয়া ও ইরাক গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় দেড়শ জনের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে বলে সরকারি হিসেবে জানা গেছে।

সূত্র: বিবিসি, ডয়েচে ভেলে, সিএনএন