শিরোনাম
গত বছরে রেকর্ড পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানির সুফল আসতে শুরু করেছে। দেশে চলতি বছরের শুরুতে জানুয়ারির প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসীরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৩৬ কোটি ৪১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫ হাজার ৫৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে)। এতে দৈনিক আসছে সাত কোটি ১৭ লাখ ৯৬ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের ১৯ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি ৬ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২২ কোটি ৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪১ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে।
তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের গত ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। চলতি মাসের ১৯ দিনে এর চেয়ে প্রায় তিন কোটি ডলার বেশি এসেছে।
তা ছাড়া গত ডিসেম্বরে গড়ে প্রতিদিন ছয় কোটি ৬৩ লাখ ডলার এসেছিল। চলতি মাসে এর চেয়ে অনেক বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
গত সেপ্টেম্বরের পর থেকে রেমিট্যান্স আসা বাড়তে শুরু করেছে। বাড়তি জনশক্তি রপ্তানির সুফল হিসেবে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
রেমিট্যান্স বাড়লে ডলার সংকট কেটে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। তার আগের বছর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের একই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৯ কোটি ডলার।
২০২৩ সালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৯২ কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা।
যা আগের বছরের চেয়ে ৬৩ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১২৯ কোটি ডলার।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।