শিরোনাম
৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে মোট দুই হাজার ৮০৫ জন নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ক্যাডার ২ হাজার ১৬৩ জন এবং নন-ক্যাডার ৬৪২ জন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এতে সই করেন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস।
ফলাফলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০-এর বিভিন্ন ক্যাডারের দুই হাজার ২১৮টি শূন্যপদের বিপরীতে দুই হাজার ১৬৩টি পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ করার জন্য যোগ্য প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী সাময়িকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হলো।
প্রশাসনে ৩০০ জন, পররাষ্ট্রে ২৫ জন, পুলিশে ১০০ জন, কর-এ ১০১ জন, কৃষিতে ২০০ জনসহ বিভিন্ন ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়।
এদিকে, ৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডার পদ সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে টানা তিন সপ্তাহ আন্দোলন করলেও শূন্য হাতে ফিরতে হলো তাদের। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি উপক্ষো করেই ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে একসঙ্গে ফল প্রকাশ করলো পিএসসি।
এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ৪০৪টি ক্যাডার পদ বাড়ানো হলেও সব পদে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি। পদ-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দুই হাজার ১৬৩ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে ফাঁকা রয়েছে ৫৫টি পদ।
অন্যদিকে নন-ক্যাডার পদে ১ হাজার ৩৪২টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য পছন্দক্রম নিলেও যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় মাত্র ৬৪২টি পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে ৭০০ পদ শূন্যই রয়েছে।
পিএসসির পরীক্ষা (ক্যাডার) শাখার একজন উপ-পরিচালক ফল প্রকাশের পর বলেন, আজ পূর্ণ কমিশন সভায় ফল প্রস্তুত করে উপস্থাপন করা হয়। তাতে কিছু পদে সুপারিশ নিয়ে জটিলতার কথা জানানো হয়। চেয়ারম্যান ও কমিশনের সদস্যরা ওই পদগুলো বাদ রেখেই নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করার অনুমোদন দেন। এরপরই আমরা ফল প্রকাশ করেছি।
চাকরিপ্রার্থীর টানা আন্দোলন করেও পিএসসির সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। এরমধ্যে পিএসসি নন-ক্যাডার পদে অল্পসংখ্যক প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করায় তাদের হতাশা আরও বেড়েছে। রইসুল ইসলাম রেজা নামে একজন প্রার্থী বলেন, ফল প্রকাশের পর আর কিছু করার থাকে না। রাস্তায় বসেই আমরা ফল দেখেছি। আমার রেজাল্ট আসেনি। অনেকে কাঁদতে কাঁদতে ফিরেছি আমরা। পিএসসি আমাদের চরম অনিশ্চিত জীবনের দিকে ঠেলে দিলো।
২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। গত ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন। তারা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে দুই হাজার ৮০৫ জন চাকরিতে যোগদানের সুপারিশ পেলেন।