শিরোনাম
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ব্যবসায়ীদের ওপর আস্থা রাখলে রাজস্বখাত এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএলের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘ব্যবসা পরিমণ্ডলের যারা আছেন তারা ভ্যাট আদায়ে এনবিআরের চ্যালেঞ্জটা বুঝতে পেরেছেন। আমি মনে করি ভ্যাট বাড়বে। ভ্যাট বাড়ার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন হবে।’
ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ- ২০২৩ উপলক্ষে রোববার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবনে আয়োজিত সেমিনার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআরকে ধন্যবাদ জানিয়ে আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘কঠিন হলেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের একটা কথা ভালো লেগেছে। তিনি বলেছেন- রপ্তানিতে আমরা যোগ্য বাজার খুঁজে নেবো। বাংলাদেশ যেভাবে পণ্য উৎপাদন করছে, আমরা এগিয়ে যাবো। দেশ এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এনবিআরের চিন্তাভাবনায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের অর্থনীতি বড় হবে, একই সঙ্গে আমাদের ভ্যাট আদায়ও বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যখন আমাদের ব্যবসায়ীদের সুযোগ দিয়েছেন, অনেক খাতের ক্ষেত্রে সুযোগ দিয়েছেন। এগুলোতে আমরা বেনিফিসিয়ারি হয়েছি। সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পণ্য পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। আজ আপনারা অ্যাপ্লায়েন্সে (যন্ত্রপাতিতে) যে ছাড় দিয়েছেন, এই ছাড়ের জন্য বাংলাদেশে অ্যাপ্লায়েন্স শিল্প গড়ে উঠেছে।’
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও বলেন, ‘এনবিআর দেশকে যতটা ভালোবাসে, ব্যবসায়ীরাও দেশকে ততটা ভালোবাসেন। আমাদের আন্তরিক প্রয়াসে দেশ এগিয়ে যাবে। আপনারা যদি আমাদের ওপর আস্থা রাখেন তাহলে রাজস্বখাত এগিয়ে যাবে। জিডিপি রেশিও নিয়ে আমাদের যে বদনাম আছে, মধ্যম ও উচ্চ আয়ের দেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিডিপি রেশিও বৃদ্ধি পাবে।’
এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা আরও ভালো কাজ করেন। আমাদের আরও প্রণোদনা দেন। আমাদের প্রণোদনা দেবেন, আমরা এই প্রণোদনা অপচয় করবো না। আমরা তা পুনরায় বিনিয়োগ করে দেশের কর্মসংস্থান বাড়াতে কাজ করবো। ব্যবসায়ীরা এনবিআরের সব প্রয়াসকে সাধুবাদ জানাবে।’
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সেরা ভ্যাট দাতা ১৪৭টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদন, ব্যবসা ও সেবা খাতে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) পরিশোধকারী ৯ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়া জেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভ্যাট পরিশোধকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানকেও নির্বাচিত করা হয়েছে।