শিরোনাম
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ ও ধারাবাহিকভাবে ‘বিকৃত তথ্য উপস্থাপন’ মোকাবিলায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক বাংলাদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টাডি সার্কেলের যৌথ পরিচালনায় বৃহস্পতিবার এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মূল আলোচক ছিলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ। অন্যতম বক্তা হিসেবে ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন। আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ রশিদ রায়হান বিন এবং স্টাডি সার্কেল লন্ডনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোজাম্মেল আলী।
গত সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাস হওয়া জয়েন্ট মোশন রেজ্যুলেশনসহ ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ বিষয়ে চালানো অপপ্রচার কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন পেশার মানুষ।
সংবাদ উপস্থাপনে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভূমিকা ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ বলে মনে করেন ড. ক্রাহ। তিনি বলেন, ‘এনজিওগুলো বেসরকারি সংস্থা হলেও প্রায় সব এনজিওরই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। কিছু সংস্থা হয়তো নিজস্ব স্বার্থে তথ্য বিকৃত করে প্রচার করে, যার ফল হয় ভয়াবহ।’
মোজাম্মেল আলী বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি ও উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এত কাজ বর্তমান সরকার ছাড়া আর কেউই করেনি।’
রাশিদ রায়হান বিন বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যবেক্ষকদের উচিত বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে প্রচারিত সংবাদগুলোর সত্যতা যাচাই করে দেখা, যাতে কোনো বিকৃত সংবাদের ফাঁদে না পড়ে।’