শিরোনাম
নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ থাকার পরও বেড়েই চলছে দাম। বাজার তদারকি কিংবা নজরদারিতে সরকারের কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে ভরপুর পণ্য থাকলেও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ সিন্ডিকেট। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জানিয়েছে, পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে নিত্যপণ্যের দামের সংকট নিয়ে এমনটি অতীতে আর দেখা মেলেনি। দেশ কিংবা আন্তর্জাতিক বাজারে নেই কোনো অস্থিরতা। তারপরও পণ্যের দাম ছুটছে লাগামছাড়া।
সরকারি হিসাবে, দেশে প্রতিমাসে পেঁয়াজের চাহিদা দুই লাখ টনের কিছু বেশি। বর্তমানে মজুত আছে ছয় লাখ টন। প্রায় দেড় লাখ টনের বিপরীতে মজুত আছে সাড়ে পাঁচ লাখ টন। প্রতিমাসে ভোজ্যতেলের চাহিদা এক লাখ ৬৬ হাজার টন, আছে ছয় লাখ পাঁচ হাজার টন। এরপরও বাজারে মূল্যের দাপটে অস্থির মানুষ।
বিক্রেতারা জানান, পণ্যের দাম কেজিতে এক টাকা কমলেও বাড়ছে সাত থেকে আট টাকা। আমদানিকারকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে পণ্য সরবরাহ করছেন তারা।
আবদুল মোমেন সুগার রিফাইনারি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান জানান, ইতোমধ্যেই তারা সরকারের কাছে আবেদন করেছে যেন তাদের কাজের সময় কমানো হয়। সময় কমানো হলেই দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
তবে বিশ্লেষকদের দাবি, সরকারের নজরদারিকেও ফাঁকি দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের অবৈধ সিন্ডিকেট। ক্যাবের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, সরকার যদি মাঠে নজরদারি আরও বাড়াতে পারে, তাহলে এমন হতো না ।
সারাবছর পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে তিন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসূফ জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়লেও দেশে যাতে কৃষিপণ্যের দাম না বাড়ে, সে ক্ষেত্রে বাণিজ্য, কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয় মিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
এদিকে, বাজারমূল্যের চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমে পণ্য বিক্রি করছে সরকারি বিপণন প্রতিষ্ঠান টিসিবি। টিসিবির এক কর্মকর্তা জানান,জনগণের ভোগান্তি কমানোর জন্য ডাল, তেল ও চিনিসহ সব পণ্য নিয়ে আসা হয়েছে।
শুধু রাজধানী নয় টিসিবির এ কার্যক্রম সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি ভোক্তাদের।
সূত্রঃ আরটিভি