শিরোনাম
মুন্সীগঞ্জ সদরের চরাঞ্চল আধারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৭ মাসের শিশুসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদরের আধারা ইউনিয়নের সোলারচর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
আধরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সুরুজ হোসেন ও একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ শিশু তাবাসুম, তার চাচা মো. জুয়েল (২৭) ও জয় মাস্তানকে (২০) প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর গুলিবিদ্ধ মিশুকচালক জহিরুল ইসলামকে (৩২) প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যার দিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেন ও মজিবুর মেম্বার সমর্থক জয় মস্তান, জহিরুল, জুয়েল, সালাউদ্দিন সোলাচর গ্রামে আসেন। সেখানে আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মেম্বার সমর্থক আহাদুল, মনা ও কালামসহ ৩ থেকে ৪ জন জয় মস্তান ও জহিরুলকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করেন। এ সময়ে জয় ও জহিরুল দৌড়ে পালাতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করেন আহাদুল, মনা ও কলামরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন জয় মস্তান, জহিরুল, জুয়েল, সালাউদ্দিন ও শিশু তাবাসুম।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেনের সমর্থক জয় মাস্তান গ্রাম থেকে বিতাড়িত। দীর্ঘদিন পর বুধবার সন্ধ্যার দিকে গ্রামে আসেন জয় মাস্তান। তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ হোসেনের লোকজন। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আধারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হোসেন বলেন, ‘আমার সমর্থক জয় মাস্তান গ্রামে ফিরলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে গুলি করে ও কোপায়। পরে প্রতিপক্ষের লোকজনের ছোড়া গুলিতে মিশুক যাত্রী ও চালক গুলিবিদ্ধ হন।’
আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সুরুজ হোসেনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দু’পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুই গ্রুপের কেউই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।