শিরোনাম
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছে টাইগাররা। এ জয়ের ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে আফগানদের বাংলাওয়াশ করল টাইগাররা। চলতি বছর ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারানোর পর রবিবার (১৬ জুলাই) আফগানদের হারিয়ে হ্যাটট্রিক সিরিজ জয়ের নজির গড়েছে টাইগাররা। এর আগে ২০২১ সালে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে,অষ্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক সিরিজ জিতেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। রবিবার আফগানদের ১১৬ রানের জবাবে ১৬.১ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান সংগ্রহ করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সাকিব আল হাসান ১১ বলে ১৮ এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারি ৭ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
লিটন কুমার দাস ৩৬ বলে ৩৫ এবং আফিফ হোসেন ২০ বলে ২৪ রান করে আউট হন। আফগানদের ২টি উইকেটই সংগ্রহ করেন মুজিব উর রহমান। লিটন-আফিফের বিদায়ের পর বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি নাজমুল হোসেন শান্তর ইনিংস। তিনি ৬ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরেন। চতুর্থ উইকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি বাধেন তাওহীদ হৃদয়। এ ব্যাটার ১৭ বলে ১৯ রান করে আউট হলে সাকিবের সঙ্গে জুটি গড়েন শামীম হোসেন পাটোয়ারি।
সিলেটের মাটিতে প্রথমে আফগানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক সাকিব। ম্যাচের শুরু থেকেই পেসার তাসকিন আহমেদের তোপের মুখে পড়ে আফগান ব্যাটাররা। ম্যাচের প্রথম ওভারে বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। সাজঘরে ফিরে যান ৮ রান করা ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। এরপর ম্যাচের তৃতীয় ওভারে তাসকিন শিকার করেন আরেক ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাইকে। এর কিছুক্ষণ পরই বৃষ্টির কারণে দীর্ঘ এক ঘন্টার জন্য খেলা বন্ধ হয়। যার কারণে বৃষ্টি আইনে খেলা কমিয়ে আনা হয় ১৭ ওভারে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচ শুরু হওয়ার পর ফের শুরু হয় টাইগার বোলারদের তাণ্ডব। একদিকে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে আফগান ব্যাটাররা ফিরলেও তারা আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সফরকারীদের রানের গতি বাড়াতে থাকেন। সফরকারী দলটির হয়ে রবিবার সর্বোচ্চ ২৫ রানের ইনিংস খেলেন আজমতউল্লাহ উমরজাই। ২০ পেরোনো তার আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দিনের মতো আজও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব। তার এই সিদ্ধান্তের প্রতিদান দেন তাসকিন। প্রথম ওভারেই ফেরান আফগান ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজকে। নিজের করা বলে নিজেই ক্যাচ নেন। ৫ বলে ৮ রান আসে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। এরপর ম্যাচের তৃতীয় ওভারে আরেক ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাইকে ৫ বলে ৪ রানে সাজঘরে ফেরান তিনি।
এরপর ম্যাচের অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। দুই বল করার পর শুরু হয় বৃষ্টি। এ কারণে বন্ধ থাকে খেলা। খেলা শুরুর পর তাদের চেপে ধরেন সাকিব। নেন দুই উইকেট। এর মাঝে এক উইকেট নেন মোস্তাফিজ। সাকিব ফেরান নাজিবুল্লাহ ও ইব্রাহিম জাদরানকে। মোস্তাফিজ ফেরান মোহাম্মদ নবিকে।