শিরোনাম
রংপুরের মিঠাপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা (মৃত্যু) ওসমান গনির স্ত্রী সাবিহা বেওয়াসহ তার ভাই আবু ছালেক, সাজেদা বেগম, ছাহেরা বেগম, সুরাইয়া বেগম, ছামিনা বেগমের মায়ের প্রাপ্য সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- পীরগঞ্জ থানার মাহমুদপুরের ইসলাম মন্ডল, রুহুল আমিন, সৈকত মিয়া, নুরুল ইসলাম এবং একই থানার মরারপাড়ার নুর আলম, নুর আক্তার সেলিনা আক্তার ফরিদা, ছালেহা,শামছুল নাহার কল্পনা। এছাড়া পারিবারিক জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে মামলাও চলমান রয়েছে। তবে একতরফা মীমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জোতবাজের খতিয়ান নং -১৮০ জে এল নং ১২১ মোট ১৩ দাগে ১০.১৩ একর জমির মধ্যে রমজান আলী ও ছালেহা খাতুন মুল মালিক, দুই নামে প্রকাশিত হয়। দুই ভাই বোনের মধ্যে রমজান আলী ০.৬৬৬ অংশ ছালেহা খাতুন ০.৩৩৪ অংশ।কিন্তু মৃত ছালেহা খাতুনের ছেলে মেয়েরা তাদের মায়ের অংশের সম্পত্তি না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। এবং এই মর্মে কোর্টে ৪ টি মামলা করেছেন গত বছর। বাটোয়ারা মামলা নাম্বার অন্য ২৯৩/২২, রেকর্ড সংশোধন মামলা নং ১২/২২, সাতধারা ৫৭৭/২২ এবং ১৪৪/১৪৫ ধারার মামলাও করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, মূল মালিক ছালেহা খাতুন মোট ১৩ দাগের মধ্যে ৪ দাগের সম্পত্তির ৯৯ শতাংশ অংশ নিজেই বিক্রি করেন। অবশিষ্ট তার ০.২৩৫ শতাংশ সম্পত্তি এখনো আছে। যা বর্তমানে মোট সম্পত্তির সাথে বাদীর মামাতো ভাই বোনেরা ভোগদখল করছে।
ভুক্তভোগী সাবিহা বেওয়া বলেন, তার মায়ের প্রাপ্ত সম্পত্তি নিয়ে টালবাহানা শুরু করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বৈঠক ডাকলেও তারা আসেননি। তাই আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ব্যাপারে আইনি সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব। বিধবা ভাতা পাওয়া টাকা দিয়ে মামলা মোকাদ্দমা পরিচালনা করছি, যা খুব কষ্টসাধ্য। এছাড়া অন্য ভাই বোনদের অবস্থা খুব খারাপ। এ অবস্থায়ও মিঠাপুকুর থেকে এসে মামলা পরিচালনা করছি। বাসা দূরে হওয়াতে বিবাদীগণ জমিগুলো নিজের আয়ত্বে নিয়েছে।