শিরোনাম
২২ বছর আগে রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় একটি নার্সারির মালী আবুল হোসেনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৯ জুলাই) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এম আলী আহমেদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- নার্সারি মালিক মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে লিটন এবং মালী আনোয়ার হোসেন ওরফে আনারুল। আসামিরা পলাতক আছেন। তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কুর্মিটোলায় বিমান বাহিনীর ২২২ এম ইউ সংলগ্ন জায়গায় জমি লিজ নিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে একটি নার্সারি গড়ে তোলেন আবু তাহের। নার্সারির কাজ পরিচালনার জন্য মালী হিসেবে আবুল হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। মুস্তাফিজুর রহমান নার্সারির কর্মচারীদের নিয়োগ, বদলি ও বেতন এসব বিষয়গুলো দেখাশোনা করতেন।
২০০১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ৯টার দিকে নার্সারিতে গিয়ে প্রধান মালী আবুল হোসেনকে নার্সারিতে দেখতে পান না মুস্তাফিজুর রহমান। সেসময় অন্যান্য মালীদের কাছে আবুল হোসেনের কথা জিজ্ঞাসা করেন তিনি। মালীরা জানায়, আবুল হোসেন তার আত্মীয়কে দেখার জন্য হাসপাতালে গেছেন। এর দু’দিন পর ৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এম ইউ বিল্ডিংয়ের অফিসের পেছনের ম্যান হলের মধ্যে আবুল হোসেনের মরদেহ পাওয়া যায়। আবু তাহের সেখানে পৌঁছানোর আগেই নার্সারি থেকে পালিয়ে যান মুস্তাফিজুর রহমান। নার্সারির অন্য দুই মালী রবিউল ও আনোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান বিমান বাহিনীর লোকজন।
ওই ঘটনায় ৭ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বাগান মালিক আবু তাহের। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১১ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
২০০৩ সালের ২৬ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।