শিরোনাম
বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বুধবার (২৮ জুন) ভুটানকে ৩-১ গলে এগিয়ে ১৪ বছর পর সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। আজকের ম্যাচসহ বাংলাদেশ ভুটান ১৪ টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের জিতেছে ১১ ম্যাচে। ২ ম্যাচ ড্র হয়েছে। ভুটান জিতেছে মাত্র ১ ম্যাচে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ভুটান মুখোমুখি হয়েছে ৭ ম্যাচে। এখানেও বাংলাদেশের জয়ের পাল্লা ভারী। লাল সবুজের প্রতিনিধিরা জিতেছে ৬ ম্যাচে। অপর ম্যাচটি ড্র হয়েছে।
প্রথমার্ধের ১২ মিনিটে দর্জির গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ভুটান। ২১ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে শেখ মোরছালিন গোল করে বাংলাদেশকে ১-১ গোলে সমতায় ফেরান। ৩০ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ৩৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক আক্রমণ থেকে রাকিব হোসেন গোল করে লাল সবুজের প্রতিনিধিদেরকে ৩-১ গোলে এগিয়ে নেন। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ৩-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে ভুটান গোলপরিশোদে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালালেও বাংলাদেশের রক্ষণভাগের কারণে সফলতার মুখ দেখতে পারেনি। নিজেদের রক্ষণ সামলিয়ে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা মাঝে মাঝে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। ফলে ৩-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে হ্যাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
আজ বুধবার (২৮ জুন) দিনের প্রথম ম্যাচে লেবানন ১-০ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়েছে। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচ থেকে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লেবানন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অন্যদিকে তিন ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে মালদ্বীপ। আজ বাংলাদেশ ভুটানের বিপক্ষে ড্র করলেও ১৪ বছর পর সেমিফাইনাল নিশ্চিত হত লাল সহজে প্রতিনিধিদের। কোন কারণে হারলে ও সেমিফাইনালে পৌঁছে যেতো জামালরা।
সাফে বাংলাদেশের সাফল্য আসে ২০০৩ সালে। এরপর ২০০৫ সালে শেষবারের মতো ফাইনালে খেলা। একসময় সাফ মানেই ছিল বাংলাদেশ ফেভারিট। আর এখন তারা দ্বিতীয় সারির দল। ১৯৯৩ সালে সার্ক ফুটবল নামে শুরু এ আসরটি পরে সাফ ফুটবল নাম ধারণ করে। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ অংশ নেয়নি। ১৯৯৫ সালে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে সেমিতে টাইব্রেকারে হেরে বিদায়। সাফ ফুটবলে প্রথম ফাইনালে খেলা ১৯৯৯ সালে। আর প্রথম ও একমাত্র ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব ২০০৩ সালে। ১৯৯৭, ২০০৮, ২০১১ ও ২০১৩ সাফে কোনো ম্যাচ জেতা হয়নি বাংলাদেশের। গ্রুপে দুই জয় ২০১৮, ২০০৯, ২০০৫ ও ২০০৩ এ। এছাড়া ১৯৯৭, ২০০৮, ২০১১, ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে তারা গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে। ২০০৯ সালে সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ । এবার'এ' গ্রুপ থেকে স্বাগতিক ভারত এবং কুয়েত সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। তিন ম্যাচ থেকে ভারত এবং কুয়েত ৭ পয়েন্ট করে অর্জন করে। গোল গড়ে এগিয়ে থাকায় কুয়েত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। স্বাগতিক ভারত গ্রুপ রানার আপ হয়েছে।
বাংলাদেশ ভুটানকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করায় ফাইনালের টিকেট পেতে ১ জুলাই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ কুয়েতের মোকাবেলা করবে। অন্য সেমিফাইনালে ভারতের মোকাবেলা করবে লেবাননের। 'বি' গ্রুপ থেকে লেবানন তিন ম্যাচ থেকে ৯ পয়েন্ট অর্জন করে গ্রুপ সেরা হয়েছে। বাংলাদেশ তিন ম্যাচ থেকে ছয় পয়েন্ট অর্জন করে গ্রুপ রানার্স আপ হয়েছে।
এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে হ্যাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল জামাল ভূইয়ারা। দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। আজ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে হারিয়ে ১৪ বছর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে খেলা যোগ্যতা অর্জন করেছে জামাল ভূঁইয়ারা।