হাওরে শতশত নৌকা নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতিকে বরণ

ফানাম নিউজ
  ২৭ জুন ২০২৩, ০১:৩৬

দীর্ঘ ১০ বছর ৪১ দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে প্রথমবার নিজ জন্মভূমি কিশোরগঞ্জের কামালপুরে গিয়েছেন সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সোমবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নৌকাযোগে মিঠামইন উপজেলার কামালপুরে পৌঁছান তিনি।

বাড়ির ঘাটে নেমে অপেক্ষায় থাকা সবার উদ্দেশ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনাদের আবদুল হামিদ আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছে। আপনারা আমাকে যা দিয়েছেন আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আজকেও আপনারা শতশত নৌকা নিয়ে আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এখন আমি নিয়মিত বাড়িতে আসবো, আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে, মতবিনিময় হবে। আমার আর কোনকিছুই চাওয়া-পাওয়ার নেই। এখন আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে কিশোরগঞ্জের খরমপট্টি বাসভবন থেকে সড়কপথে রওয়ানা দেন তিনি। বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাকে স্বাগত জানাতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ফুল নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

এছাড়া হাওরের প্রবেশপথ করিমগঞ্জের বালিখলাঘাট এলাকায় শতশত ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে অপেক্ষায় ছিল হাওরবাসী। পরে বালিখলাঘাটে মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমীর কুমার বৈষ্ণব, মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফ কামালসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। এরপর কিছুক্ষণ পরেই সেখান থেকে নৌকাযোগে বাড়ির পথে রওয়ানা দেন তিনি।

এসময় আবদুল হামিদের সঙ্গে ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ, কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার নেলী, আবদুল হামিদের নাতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হামিদ জ্বীম, রিফাহ তাসনীম হামিদ।

মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমীর কুমার বৈষ্ণব বলেন, সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার নিজ গ্রামে এসেছেন। তিনি আজ বাড়িতে আসবেন শুনে হাওরবাসীর মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সকাল থেকেই অনেকে গিয়ে বালিখলাঘাটে বসেছিলেন। তারা নিজেদের টাকায় নৌকা ভাড়া করে চলে এসেছেন। হাওরবাসী তাকে কাছে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত।

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, আমার বাবা কিশোরগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা। তিনি তৃণমূলের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করেছেন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পাওয়ার আগে জেলার বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়িয়েছেন। তৃণমূলের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে তার আত্মার সম্পর্ক। কিন্তু রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এবং নিরাপত্তাবেষ্টনীর কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ওইভাবে সবার সঙ্গে আগের মতো মিশতে পারেননি। বর্তমানে তিনি সফলভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে আবারও আমাদের কাছে ফিরে এসেছেন। সবার ভালবাসায় তিনি মুগ্ধ হয়েছেন।