শিরোনাম
ঢাকার ধামরাইয়ে শুরু হয়েছে শ্রী শ্রী যশোমাধব দেবের ঐতিহাসিক রথোৎসব। দিনটিকে ঘিরে উৎসবমুখর ছিল গোটা ধামরাই। আগত ভক্তদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেলে ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ এর উদ্বোধন করেন।
আয়োজক কমিটির সভাপতি জীবন কানাই দাস বলেন, সকাল ১০টায় থেকে শুরু হয় ধর্মীয় রীতি। এসময় ধামরাইয়ের কায়েতপাড়ায় রথের সামনে ঢাকঢোল, বাদ্য, কাঁসার ঘণ্টা ও উলু ধ্বনি এবং পূজা-অর্চনায় অংশ নেন ভক্তরা। পরে বিকেল পৌনে ৬টার দিকে যশোমাধব মন্দির থেকে মাধব বিগ্রহসহ অন্য বিগ্রহগুলো রথের ওপর স্থাপন করা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রধান অতিথি রথযাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করবেন। পরে তিনি সারথির হাতে প্রতীকী রশি প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, এরপর ভক্তরা প্রতিমাসহ ৪২ ফুট উচ্চতার তিনতলা বিশিষ্ট রথটি পাটের রশি ধরে টেনে শ্রী শ্রী যশোমাধবকে তার কথিত শ্বশুরালয় যাত্রাবাড়ী মন্দিরে নিয়ে যায়। এসময় ভক্তরা রথকে উদ্দেশ্য করে চারপাশ থেকে ছিটাতে থাকেন কলা-চিনি। সেখানে ৯ দিন অবস্থানের পর ২৮ জুন উল্টো টানের মাধ্যমে শেষ হবে রথযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা। তবে রথমেলা চলবে মাসব্যাপী।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ জানান, দিনটিকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি ছিল।
রথোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী প্রণয় কুমার ভার্মা, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী, পৌরসভার মেয়র গোলাম কবীর, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেনসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।