শিরোনাম
নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার দাওয়াতি শাখার প্রধান আব্দুল্লাহ মায়মুনের নেতৃত্বে সংগঠিত হওয়ার পরিকল্পনা করছিল। সিলেটে অবস্থানকালে আব্দুল্লাহ মায়মুনের বাসায় চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার যোগাযোগ ছিল এবং তার বাসায় আসা-যাওয়া ছিল।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্রেফতার আব্দুল্লাহ মায়মুন ২০১৩ সালে স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেন। তিনি সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এবং তার সিলেটের বাসায় যাতায়াত ছিল। ২০১৯ সালে বগুড়ার একটি সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় তিনি গ্রেফতার হন এবং এক বছরের বেশি কারাভোগ করে ২০২০ সালের শেষের দিকে জামিনে মুক্তি পান।
কমান্ডার মঈন বলেন, সিলেটে গ্রেফতার জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার দাওয়াতি শাখার প্রধান আব্দুল্লাহ মায়মুন গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। সে জানিয়েছে, নিজেরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছিল তারা। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের কারণে তারা ছন্নছাড়া অবস্থায় রয়েছে। তাই তার পূর্ববর্তী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিল। গ্রেফতার আব্দুল্লাহ মায়মুন আনসার আল ইসলামের নেতা চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল।
প্রাথমিকভাবে সে নতুন জঙ্গি সংগঠনকে ১৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে। এখনই তাদের কোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ মায়মুনের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়। জঙ্গি মায়মুন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সেতুবন্ধনে কাজ করছিলেন। এছাড়া তিনি অভিনব কৌশলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ ও অস্ত্রের জোগানদাতা ছিলেন।