ইভ্যালি পরিচালনায় বোর্ড গঠনের বিষয়ে আদেশ আজ

ফানাম নিউজ
  ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১১:৪২

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিষয়ে ওঠা প্রতারণার অভিযোগ ও পরিচালনার নিয়ম পর্যালোচনা করতে চার সদস্যের বোর্ড গঠন এবং নথি নিয়ে আজ হাইকোর্টের আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দিতে পারেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ইভ্যালির বিষয়ে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব, একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস ও একজন আইনজীবী দিয়ে ইভ্যালির জন্য বোর্ড গঠন করতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এমন তিনজনের নাম উল্লেখ করে প্রস্তাব আদালতে পাঠানোর জন্য বলেছেন। পরে এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য বুধবার দিন ঠিক করা হয়।

ইভ্যালির দুই কর্ণধার কারাগারে থাকায় এ বোর্ড বা কমিটি গঠন করতে আদেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবীরা।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার, প্রতিযোগিতা কমিশনের আইনজীবী তাপস কান্তি বল।

এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর এক আদেশে ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইভ্যালির নথিপত্র আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। সে অনুযায়ী নথি দাখিল করা হয়।

আইনজীবী তাপস কান্তি বল বলেন, সব নথি দাখিল করা হয়েছে। যেহেতু এ কোম্পানির দুজন মালিকই জেলে, তাই একটি কমিটি গঠনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন আদালত। কমিটিতে তিনজনের নাম পাঠানোর জন্যে বলা হয়েছে। আমরা নাম পাঠাবো। এ বিষয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

এর আগে এক গ্রাহকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের নথি তলব করা হয়।

আবেদনকারী ইভ্যালিতে গত মে মাসে একটি ওয়াশিং মেশিন অর্ডার করেন। অর্ডারের সময় তিনি অর্থ পরিশোধ করেন মোবাইল ফোনভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবার মাধ্যমে। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে একটি পণ্য কেনায় ৩৩ হাজার ৩০৮ টাকার রসিদও দেয়।

কিন্তু এতদিনেও তারা পণ্যটি বুঝিয়ে দেয়নি। পণ্য বুঝে পেতে আবেদনকারী যোগাযোগ করলে তাকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়, কিন্তু পণ্য বুঝিয়ে দেয়নি কিংবা টাকাও ফেরত দেয়নি। পরে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ই-ক্যাব, ভোক্তা অধিকারে কয়েকবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন এবং হাইকোর্টে কোম্পানিটির অবসায়ন চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, কনজুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে বিবাদী করা হয়। সূত্র: জাগো নিউজ