শিরোনাম
ঢাকার আশুলিয়ায় গত বছরের ৪ জুলাই দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হয় লিখন নামের এক ব্যক্তি। লিখন হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও পলাতক ছিলেন কিশোর গ্যাং সদস্য মো. অনিক (২০), মো. জুবায়ের (১৯)।
আশুলিয়ার নবারটেক এলাকায় দুটি পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র্যাব-৪।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ৪ জুলাই ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকার ‘কাইচ্চাবাড়ি গ্যাং’ এবং ‘গোচারটেক ভাই বেরাদার’ গ্যাং স্থানীয় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পলাশবাড়ি গোচারারটেক ইস্টার্ন হাউজিং মাঠের পাশে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এতে লিখন নামের এক ব্যক্তি তার পরিচিত মেহেদী নামের আরেক ব্যক্তিকে মারতে দেখে থামানোর চেষ্টা করলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত দুই জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরদিন লিখন মারা যান। এতে তার চাচা শরীফুল ইসলাম বাবু বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় আসামি রনি, এনায়েতসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেকের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল আসামি মো. রনি ওরফে মামা রনি (১৮), মো. জিলানী (১৮), মো. সোহাগ (১৯), এবং ৪। রাকিবকে (১৮) গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে।
র্যাব জানায়, শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) আশুলিয়া থানার নবারটেক এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে লিখন হত্যাকাণ্ডে অন্যতম সক্রিয় অংশগ্রহণকারী মো. অনিক (২০), মো. জুবায়েরকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। আসামিরা লিখন হত্যাকাণ্ডে তাদের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হত্যাকাণ্ডের বেশ কিছুদিন আগে থেকে গোচারটেক কিশোর গ্যাং গ্রুপ ও কাইচ্চাবাড়ি কিশোর গ্যাং গ্রুপ তথাপি লিখন গ্রুপ ও রনি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। চলমান এই দ্বন্দ্বের জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে লিখন হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হয়।
তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানানো হয়।