শিরোনাম
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকীতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতির পক্ষ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদেন করেন। এরপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ সমাধিসৌধের বেদীর পাশে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তারপর পবিত্র সুরা ফাতেহা পাঠ করেন। বঙ্গবন্ধু ও ৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন তাঁরা। পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সমাধি সৌধে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এরপর রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানম, ছেলে রেওয়ান আহম্মদ তৌফিক এমপি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তারপর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শ্রমজীবী, পেশাজীবী সংগঠন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সড়ক পথে পদ্মা সেতু পার হয়ে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌঁছেন। পরে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ টুঙ্গিপাড়া পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্বাগত জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের পাবলিক প্লাজায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠান থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। এরপর অস্বচ্ছল ১০০ মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করবেন।
ওই অনুষ্ঠানে শিশু প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেবে। পরে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। ভাষণ শেষে দর্শক সারিতে বসে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলার শিশু শিল্পীদের পরিবেশিত গীতি-আলেখ্য অনুষ্ঠান ‘ টুঙ্গিপাড়ার ছোট খোকা-আজ আমাদের জাতির পিতা’ উপভোগ করবেন।
শিশু দিবসের অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শিশু শিল্পীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেবেন। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে শিশু অধিকার বিষয়ক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী বই মেলার উদ্বোধন ও স্টল পরিদর্শন করবেন। রাষ্ট্রীয় এসব কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ শেষে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।