শিরোনাম
জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেবে জাতিসংঘ। শনিবারের এ সমঝোতা স্মারকের জন্য হাতিয়ার ভাসানচরে আনন্দ মিছিল করেছেন রোহিঙ্গারা।
রোববার অনুষ্ঠিত এ মিছিলে হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা অংশগ্রহণ করেন। মিছিলের স্লোগান ছিল ‘ওয়েলকাম ইউএন, ওয়েলকাম ইউএনএইচসিআর, থ্যাংক ইউ ইউএন, উই আর হ্যাপিথ।'
রোববার দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এ আনন্দ মিছিল করেন তারা। মিছিলটি সিআইসি অফিস (শেল্টার-০৯) থেকে হাসপাতাল রোড হয়ে ১নং রোহিঙ্গা বাজারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। ক্যাম্প হেড ফোকালদের নেতৃত্বে রোহিঙ্গারা এ আনন্দ মিছিলের আয়োজন করেন।
কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে অধিকতর নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয় করে ভাসানচর প্রস্তুত করে বাংলাদেশ সরকার। বছর দুয়েক আগেও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা সম্ভব ছিল না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে। তবে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে জাতিসংঘের অনিচ্ছা সত্ত্বেও এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার। এ পর্যন্ত ছয় দফায় ১৮ হাজার ৫২১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পর থেকে মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ। এবার ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদেরও মানবিক সহায়তা দিতে সংস্থাটি শনিবার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকটি (এমওইউ) সই করে। বাংলাদেশের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসীন এবং জাতিসংঘের পক্ষে ইউএনএইচসিআরের কান্ট্রি ডিরেক্টর চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
ইউএনএইচসিআর বলছে, এর ফলে ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সেবা ও সহায়তা কার্যক্রমে সরকার ও জাতিসংঘের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা সম্ভব হবে। সুরক্ষা, শিক্ষা, দক্ষতা, প্রশিক্ষণ, জীবিকা ও স্বাস্থ্যসেবায় সহায়তার মাধ্যমে শরণার্থীরা দ্বীপে মানসম্মত জীবনযাপন করতে পারবেন। এছাড়া তারা ভবিষ্যতে মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন। সূত্র: যুগান্তর