শিরোনাম
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরিতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন জেলার কারিগররা। গেল বছরের চেয়ে এবার প্রতিমার চাহিদা বেশি থাকায় খুশি কারিগররা।
কয়েক দিন পরেই মর্তে আসবে দেবী দুর্গা। তাই টানা রাত-দিন চলছে প্রতিমার আকৃতি দেওয়াসহ রাঙানোর কাজ। করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় এ বছর বেড়েছে প্রতিমার চাহিদা। তাইতো দম ফেলার সময় নেই ঝিনাইদহের কারিগরদের। দেবীকে নতুন রূপে সাজাতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন তারা। কারিগররা জানান, প্রতিমা তৈরির খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তারপরও তৈরি বন্ধ করছেন না তারা।
ময়মনসিংহে এ বছর ৭৮৪টি পূজামণ্ডপে দেবীকে সাজাতে ব্যস্ত কারিগররা। তবে উপকরণের দাম বাড়ায় প্রতিমা তৈরিতে খরচ বেশি পড়ছে বলে জানান তারা।
গত বছরের তুলনায় অর্ডার বেশি থাকায় প্রতিমা তৈরির সংখ্যা বাড়িয়েছেন পিরোজপুরের কারিগররা। তাই জেলার বেশির ভাগ মন্দিরেই প্রতিমা নির্মিত হচ্ছে। তবে যথাযথ মূল্য না পাওয়ায়, এ শিল্পে দৈন্যদশা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা কারিগরদের।
তাদের অভিযোগ, পরিশ্রম অনুযায়ী পারিশ্রমিক পান না তারা। বড় এই উৎসবে করোনার ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার পাশাপাশি, মণ্ডপে তিন স্তরের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান জানান,তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে এবং সময়ের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার অনুরোধও করেন তিনি।
অসুরকে বদ করে দেবীদুর্গা দোলায় চড়ে, মহাসমারোহে পারি জমাবেন। আর বিশ্ববাসীকে শস্য সম্ভারে পূর্ণ করে দেবেন বলে আশা ধর্ম অনুসারীদের।
সূত্রঃ আরটিভি