শিরোনাম
শুরুতে ইয়েমেনকে চেপে ধরে গোল করার আপ্রাণ চেষ্টা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোল আসেনি। একটু গুছিয়ে নিয়ে ইয়েমেন নিজেদের স্কিল দেখিয়েছে। একের পর এক গোল করে স্বাগতিকদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে ই গ্রুপে ইয়েমেন ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশকে। টানা তৃতীয় জয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
১০ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা ছয় রানার্সআপ পাবে মূল পর্বে খেলার টিকিট। ‘ই’ গ্রুপে রানার্সআপ হলেও সেরা ছয় রানার্সআপ হওয়া বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিনই। ‘আই’ গ্রুপ থেকে তিমুর-লেসেথে এবং ‘জে’ গ্রুপ থেকে শ্রীলঙ্কা নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বাইলজে আনতে হয়েছে পরিবর্তন। পাঁচ ও চার দল নিয়ে হওয়া গ্রুপগুলোর সেরা তিন দলের মধ্যকার ফল বিবেচিত হবে সেরা ছয় রানার্সআপ নির্ধারণের ক্ষেত্রে।
সেক্ষেত্রে ‘ই’ গ্রুপে চতুর্থ হওয়া ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ২-০ গোলের জয় বিবেচনায় আসছে না। এর বাইরে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় এবং ইয়েমেনের কাছে হারের পর ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ স্মলির দল। গোল পার্থক্যের হিসাবও বাংলাদেশের (-৩) পক্ষে নেই। কাগজে-কলমে টিকে থাকা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত মূল পর্বের টিকিট পাবে কিনা, তা জানা যাবে বাকি গ্রুপের ম্যাচ শেষে।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রবিবার (৯ অক্টোবর) ছুটির দিনে হাজারো দর্শক এসেছিল নিজ দলের খেলা দেখতে। কিন্তু মিরাজুল-ইমরানরা হতাশ করেছেন।
ম্যাচের ১০ মিনিট পর্যন্ত ইয়েমেনের রক্ষণে ভয় ধরাতে থাকে বাংলাদেশ। ম্যাচ ঘড়ির ৭ মিনিটে সতীর্থের লং পাস থেকে মোতাগিম আলম বক্সে ঢুকে দূরহ কোন থেকে নেওয়া শট গোলকিপারের হাত স্পর্শ করে ক্রস বারে লেগে ফিরলে গোল পাওয়া হয়নি।
ইয়েমেন গুছিয়ে নিয়ে নিজেদের খেলাটা খেলতে থাকে। প্রথমার্ধে তিন গোল করে চালকের আসনে।
১১ মিনিটে ইসাম আব্দুল রহমান আল খাদেরের শট দূরের পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে যায়।
২২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় ইয়েমেন। আব্দুল রহমানকে অহেতুক পা বাড়িয়ে ফেলে দেন চন্দন রায়। উজবেকিস্তানের রেফারি বাঁশি বাজাতে সময় নেননি। স্পট কিক থেকে আনোয়ার হোসেন তুরাইকি গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে জাল কাঁপান।
৩৬ মিনিটে ইয়েমেন ব্যবধান দ্বিগুণ করে। গোলকিপার সোহানুর রহমান ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে পারেননি, পারেননি এক ডিফেন্ডারও। বক্সের প্রান্ত থেকে দৌড়ে এসে ওয়াহিব নোমান জোরালো শটে জাল কাঁপান।
৪০ মিনিটে গোল শোধে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। সতীর্থর লম্বা থ্রো-ইন থেকে একজনের ব্যাক হেড পোস্টের সামনে থেকে পা বাড়িয়েও শট নিতে পারেননি নাজিমুদ্দিন।
৪৫ মিনিটে তৃতীয় গোল করে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে দেয় ইয়েমেন। আদেল আব্বাস কাশেম বক্সের ভেতরে বল পেয়ে গোলকিপারের পাশ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন।
বিরতির পরও ছিল ইয়েমেনের আধিপত্য। তবে এই অর্ধে একটির বেশি গোল আসেনি।
৭৮ মিনিটে মোহাম্মদ আমীর বক্সে ঢুকে নিঁখুত শটে পঞ্চম করে দলকে বড় জয়ের পথে নিয়ে যান।
বাকি সময় ৫-০ স্কোরলাইন রেখে ইয়েমেন মাঠ ছেড়েছে। আর হতাশায় শেষ বাংলাদেশের বাছাইপর্ব।