শিরোনাম
যশোরের শার্শা উপজেলার ওরিয়েনটাল ওয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সামনে থেকে ৯ কেজি ৭৫৯ গ্রাম ওজনের ৩০টি স্বর্ণের বারসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি ও শার্শা থানা পুলিশ সদস্যরা।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে স্বর্ণের বারসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের আগে পাচারকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় যশোর ডিবি পুলিশের দুইজন ও শার্শা থানা পুলিশের একজন সদস্য আহত হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আবুল সরকারের ছেলে রবিন (৩৫) ও কবির হোসেনের ছেলে আবুল কাশেম (৩৫) । তাদরে বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা ও দাউদকান্দি উপজেলার সাজাদিয়া এলাকায়।
পুলিশ জানায়, স্বর্ণ উদ্ধারের সময় পুলিশ ও পাচারকারীদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় একদল পাচারকারী পুলিশকে লক্ষ করে ৪-৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা রাবার বুলেট ছুড়লে হামলাকারীরা তাদের মোটরসাইকেলগুলো ফেলে পালিয়ে যায়।
এ সময় দুইজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের মোটরসাইকেলে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত স্বর্ণগুলো উদ্ধার করা হয়। হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া ৩টি মোটরসাইকেলও জব্দ করেছে পুলিশ।
এদিকে ঘটনাস্থলের ২০০ গজ দূর থেকে এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাভারণ সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান।
তিনি জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কের জামতলা এলাকার পাঁচপুকুর নামক স্থানে অভিযান চালায় যশোর ডিবি ও শার্শা থানার পুলিশ সদস্যরা। কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণপাচার করছিলেন তারা। সীমান্ত পথে ভারতে স্বর্ণ পাচারকালে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ৯ কেজি ৭৫৯ গ্রাম ওজনের ৩০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে ৭ কোটি টাকা। স্বর্ণসহ পাচারকারীদের শার্শা থানায় সোপর্দ করা হবে এবং জব্দকৃত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখে নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে বলে বলে জানান তিনি।