শিরোনাম
ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০৩০ আয়োজনের জন্য সৌদি আরবের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের কাছে পাঠানো এক চিঠির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সমর্থনের ঘোষণা দেন।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী রাষ্ট্রপতির চিঠিটি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছেন। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস বুধবার রাতে এক টুইটবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি আরব রিয়াদে ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০৩০ আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যে ব্যুরো ইন্টারন্যাশনাল দেস এক্সপোজিসন (বিআইই) বরাবর আবেদন করেছে।
ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০৩০ আয়োজনের জন্য আরও চারটি দেশ আবেদন করেছে। বুসানে দক্ষিণ কোরিয়া, মস্কোতে রাশিয়া, রোমে ইতালি এবং ওডেসায় ইউক্রেন একই বছর ওয়ার্ল্ড এক্সপো আয়োজন করতে চায়।
তবে প্রদর্শনীটি আয়োজনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়া। আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর জন্য অনুমোদন সংস্থা (বিআইই) ২০২৩ সালের জুন আয়োজক নগরী চূড়ান্ত করবে।
সৌদি আরবকে সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কী কী বিষয় বিবেচনায় নিয়েছে তা অবশ্য বলা হয়নি। তবে মুসলিম দেশ হিসেবে সৌদি আরবের গুরুত্ব, দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং জনশক্তির প্রধান বাজার হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সৌদি আরবের নিবিড় সম্পর্ক থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াকে উৎসাহিত করে থাকতে পারে।
উপসাগরীয় দেশগুলোও বাংলাদেশের জনশক্তির গুরুত্বপূর্ণ বাজার। তবে এভাবে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে সমর্থন করায় প্রদর্শনী আয়োজনে আগ্রহী অপর দেশগুলো নাখোশ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও সৌদি আরবের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে বাংলাদেশ বিনিময়ে বিশেষ কোনো সুবিধা পাবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এক্সপো হলো একটি বৈশ্বিক ইভেন্ট। এটি মানবজাতির চ্যালেঞ্জ উত্তরণে একটি প্রতিপাদ্যে সবাইকে যুক্ত করে ও কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০৩০ আন্তর্জাতিকভাবে নিবন্ধিত একটি প্রদর্শনী; যা বিআইইর ১০০তম বার্ষিকীতে হতে যাচ্ছে। এ এক্সপোতে অতীতের ১০০ বছরের প্রতিফলন ও ভবিষ্যতের ১০০ বছরের পরিকল্পনার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০৩০ এর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এ কারণে যে, ওই বছরই জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) শেষ হবে। শিক্ষা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক্সপোর প্রতিপাদ্য বিষয় আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীদের ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সমাধানের নতুন ধরনের সহযোগিতার সূচনা হতে পারে।
এটা অনেক সময় নীতিগত দলিল কিংবা মেনিফেস্টো আকারে হয়ে থাকে। এক্সপোর সাফল্যের জন্য উন্মুক্ত, বৈচিত্র্যময়, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তির মূল্যবোধ প্রয়োজন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানবজাতি যেসব বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে; তার জন্য নাটকীয় ও মৌলিক পরিবর্তন প্রয়োজন। খণ্ডিত ও পর্যায়ক্রমে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।