শিরোনাম
দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। দেশের বাজারে হঠাৎ করে কাঁচামরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পায়। যার ফলে বাংলাদেশ সরকার ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে ভারত থেকে ছয়টি ট্রাকে ৬০ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়। ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির ফলে দেশি কাঁচামরিচের দামও কমতে শুরু করেছে। কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে দেশি কাঁচামরিচ ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন, দেশের কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় গত বছরের ১০ নভেম্বর ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ হয়। দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম ঊর্ধ্বগতির কারণে ফের ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এখন পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরের দুজন আমদানিকারক দুই হাজার মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচামরিচ আমদানিকারক জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, কিছুদিন থেকে বাড়তে থাকে কাঁচামরিচের দাম। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখতে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে। শনিবার দুপুরে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। খালাসের পর আমদানি করা কাঁচামরিচ বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
হিলি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির ফলে দেশি কাঁচামরিচের দাম কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি কমেছে ২০ টাকা। গতকাল যে দেশি কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছিল ২৪০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি দরে। ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি স্বাভাবিক থাকলে আরও দাম কমবে।
হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, আমদানি করা কাঁচা মরিচের শুল্কায়ন দ্রুত সম্পন্ন করা হচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীরা সঠিক সময়ে পণ্যটি তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিতে পারবেন।