শিরোনাম
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ তিনটি মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। মেট্রোরেলের তিনটি রুট কোনদিক দিয়ে যাবে, কত ব্যয় হবে- সবকিছু ঠিক করার জন্য শুরু হচ্ছে সমীক্ষা প্রকল্প। দুই বছরমেয়াদি সমীক্ষা প্রকল্প সমাপ্তের পরেই শুরু হবে মূল প্রকল্প। তবে সমীক্ষা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮১ কোটি ৪৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাবিহা পারভীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এই লক্ষ্যে সমীক্ষা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আগে ঢাকায় ডিটিসিএ কাজ করতো। এখন নতুন আইন হয়েছে, চট্টগ্রামেও কাজ করবে ডিটিসিএ।
‘ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান অ্যান্ড প্রিলিমিনারি ফিসিবিলিটি স্টাডি ফর আরবান মেট্রোরেল ট্রানজিট কনস্ট্রাক্ট অব চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এরিয়া’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ বলে জানান তিনি।
কারিগরি সহায়তা প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৮১ কোটি ৪৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন ২৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বাকি ৫১ কোটি ৬০ লাখ টাকা অনুদান দেবে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কপোরেশন এজেন্সি। ২০২২ হতে ৩১ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে প্রকল্পটি।
ডিটিসিএ জানায়, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই মহানগরীতে ৪০ লাখ মানুষ বসবাস করে। শিল্পকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান প্রসারের মাধ্যমে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দ্রুত নগরায়ন ঘটছে। ফলে এ মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থার ওপর ক্রমান্বয়ে চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ট্রাফিক জ্যাম, দুর্ঘটনা, বায়ুদূষণ ইত্যাদি সমস্যা বেড়ে চলেছে।
এ প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশের পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ১৯৯৫ সালে ‘চট্টগ্রামের ট্রাফিক ও পরিবহনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন কৌশল’ শীর্ষক একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে। পরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এমআরটি লাইন স্থাপনের জন্য একটি প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করে।
এছাড়া, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষেরও নিজস্ব মাস্টারপ্ল্যান রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর যানজট পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থা নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও কোনো সমন্বিত পরিবহন পরিকল্পনা না থাকায় বিচ্ছিন্নভাবে গৃহীত প্রকল্প জনদুর্ভোগ লাঘবে ফলপ্রসূ হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে মেট্রোরেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।