শিরোনাম
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। পানি বৃদ্ধির শুরুতেই আকষ্মিক ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে তিনটি তাঁত কারখানাসহ অন্তত ১০টি বসতভিটা ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষার বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২ দশমিক ৪১ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুদিন যাবত টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯ সেন্টিমিটার। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জেলার চৌহালীতে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।
গতকাল সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাঙনে চৌহালী উপজেলার বাগুটিয়া ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ বাজার এলাকায় অন্তত তিনটি তাঁত কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ১০টি বসতভিটা ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজারসহ অসংখ্য বসতবাড়ি।
বাগুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোল্লা বলেন, আকস্মিক ভাঙনে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন মানুষ। দেওয়ানগঞ্জ বাজারসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এই স্থানে অতিদ্রুত ভাঙনরোধে কাজ শুরু করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে বলেন, যমুনা নদীর বামতীরের চৌহালীতে ভাঙন শুরু হওয়ার খবর পেয়েছি। সেখানে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে জিওব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।
সূত্র: আরটিভি