শিরোনাম
চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকা থেকে ১৮ মাসের শিশু অপহরণের ঘটনায় চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ সময় অপহৃত শিশু আরজুকেও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার খবরা নামক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে বায়েজিদ থানা পুলিশের একটি টিম। শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতাররা হলো- মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার চিনখা দত্তে গাও মরা ছরির পাড় এলাকার বাসিন্দা সোহেল (২৯) ও তার স্ত্রীর কুলসুম ওরফে কুসুম ওরফে সুমি (২৭) এবং সোহেলের মা খোরশেদা বেগম (৫৫)। তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বায়েজিদ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন রৌফাবাদ রাজা মিয়ার কলোনীতে দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন গার্মেন্টস কর্মী মুক্তা বেগম ও স্বামী মাংস বিক্রেতা আব্দুল খালেক। তাদের নাজমা আকতার নামে ১২ বছরের এক কন্যা শিশু ও ১৮ মাস বয়সী আরজু নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল আরজুকে নাজমার কাছে রেখে মুক্তা বেগম গার্মেন্টেসে চলে যান। আব্দুল খালেকও মাংস বিক্রির জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যান। এক পর্যায়ে ছোট ভাইকে বাসায় রেখে নাজমা কলোনীর বাসা থেকে বাইরে গেলে পাশের বাসার কুলসুম কৌশলে আরজুকে চুরি করে নিয়ে যায়। পরে কুলসুম তার স্বামীর সহায়তায় শিশু আরজুকে নিয়ে হবিগঞ্জ চলে যায়।
এদিকে সন্ধ্যায় বাসায় এসে শিশু পুত্র আরজুকে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন মুক্তা বেগম। এরপর বায়েজিদ থানার একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে শিশু অপহরণকারী চক্রকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে বায়েজিদ থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, শিশু আরজুকে অপহরণ করে আত্মগোপনে থাকে কুলসুম। সে বায়েজিদ এলাকায় বসবাস করে আসলেও তার আসল পরিচয় কেউ জানতো না। তাই তার পরিচয় শনাক্ত করতে বেগ পেতে হয়েছে। প্রায় ৪৮ ঘন্টার অভিযানে হবিগঞ্জ থেকে অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার ও অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, অপহরণকারী কুলসুমের কথিত স্বামী সোহেলের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়। কিন্তু আগে চট্টগ্রামে বসবাস করতো। তখন নানান অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিল সোহেল। সোহেলের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার হলেও সে অপহৃত শিশু আরজুকে নিয়ে হবিগঞ্জ এলাকায় আত্মগোপন করে।
সূত্র: জাগো নিউজ