শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানোৎসবের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ২৫ কিলোমিটারজুড়ে এ যানজট ছড়িয়ে পড়েছে।
যানজটের কারণে শনিবার সকাল থেকেই ভোগান্তিতে পড়েছে এ পথে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ শিমারাইল থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত এ যানজটে পড়ে অনেকেই কর্মস্থলে না গিয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা থেকে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা হতে দেখা গেছে।
এদিকে যানজট ও পুণ্যার্থীদের চাপে সড়কে দেখা দিয়েছে পরিবহন সংকট। ফলে এক শ্রেণির যানবাহনের চালক সুযোগ বুঝে গাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লোকাল ভাড়া ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পরিবহনের চালক ও হেলপাররা জানান, যানজটের কারণে গাড়ি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই স্থানে বসে থাকতে হচ্ছে। ফলে তারা সময় মতো নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। এ জন্য তারা আর্থিক লোকসানের মধ্যে পড়ছেন তাই ভাড়া সামান্য বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে।
দুলাল মিয়া প্রতিদিন সোনারগাঁ থেকে ঢাকায় গিয়ে অফিস করেন। তিনি জানান, সকাল ৮টায় সোনারগাঁ থেকে রওনা দিয়ে বেলা ১১টায় মাত্র চিটাগাং রোড পৌঁছেছেন। দীর্ঘ সময় জ্যামে আটকে থাকতে হয়েছে তাকে।
মোশারফ হোন নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান, লাঙ্গলবন্দ থেকে কাঁচপুরে এসে অফিস করি। এখানে আসতে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট লাগে। অথচ লাঙ্গলবন্দের স্নানের কারণে আজ ১ ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে।
যানজটের কারণে অনেকেই পায়ে হেঁটে কিংবা বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে রিকশা ও অন্যান্য ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ সাজ্জাদ করিম খান জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় গতকাল শুক্রবার রাত থেকে হওয়া দুই দিনব্যাপী অষ্টমী স্নানোৎসব শুরু হয়েছে। এখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী হাজার হাজার পূণ্যার্থীর আগমন ঘটেছে।
এ জন্য মহাসড়কে গাড়ির চাপ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। বাড়তি গাড়ির চাপেই মহাসড়কে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের একাধিক টিম মহাসড়কে কাজ করছে।
সুত্র: দেশ রূপান্তর