শিরোনাম
বাগেরহাট সদর হাসপাতালে হঠাৎ করে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। ১০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রতিদিন দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হচ্ছে।
এর মধ্যে শিশুরাই বেশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। গত এক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ ছাড়া বর্হিবিভাগেও (আউটডোর) ডায়রিয়া রোগীর চাপ রয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে ওষুধের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
হঠাৎ গরম ও বিশুদ্ধ পানির সংকটের কারণে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে ধারণা চিকিৎসকদের। ডায়রিয়া থেকে উপশম পেতে এই এলাকার মানুষকে পানি ফুটিয়ে পান করতে এবং আরও স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বুধবার বেলা বারোটার দিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের দশ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, ‘কোনো বেড খালি নেই। সব বেডেই শিশু রোগী। বেডে রোগীর সংকুলান না হওয়ায় ফ্লোরে জায়গা হয়েছে বেশির ভাগ রোগীর। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের গোবরদিয়া গ্রামের আক্রান্ত শিশু আছিয়া খাতুনের মাসহ অন্য মায়েরা বলেন, ‘দুই দিন আগে সকালে ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ দেখি মেয়েটির পাতলা পায়খানা হচ্ছে। প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাইয়েছি। তাতে ডায়রিয়া না কমায় হাসপাতালে এসেছি। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’
‘গত তিন দিন আগে ছেলের ডায়রিয়া শুরু হয়। দিন যাচ্ছে আর পরিমাণ বাড়ছে। কমছেই না। তিন দিন পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। চিকিৎসকের পরামর্শে ভালোর দিকে যাচ্ছে।’
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ (জুনিয়র কনসালট্যান্ট) ডা. খান শিহান মাহমুদ বলেন, হঠাৎ করে গরম বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ জন রোগী ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছে।
তিনি বলেন, মার্চ মাসের ২৮ তারিখ থেকে এই হাসপাতালে রোগী বাড়তে শুরু করে। গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে। এ ছাড়া বর্হিবিভাগেও (আউটডোর) ডায়রিয়া রোগীর চাপ রয়েছে।
হঠাৎ গরম ও বিশুদ্ধ পানির সংকটের কারণে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে ধারণা এই চিকিৎসকের।
ডায়রিয়া থেকে উপশম পেতে এই এলাকার মানুষকে পানি ফুটিয়ে পান করতে এবং আরও স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
সবাই যদি এখনই সচেতন না হই তাহলে ডায়রিয়ার প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন এই চিকিৎসক।
সূত্র: দেশ রূপান্তর