শিরোনাম
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন দারুণভাবে শেষ করে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গেল বাংলাদেশ। এ সেশনে বাংলাদেশের ঝুলিতে জমা পড়ল ৪টি উইকেট।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩১৪ রান।
দুর্দান্ত বল করলেন পেসার খালেদ। শরীফুল ইসলামের জায়গায় ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট খেলতে নেমে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। ষষ্ঠ ওভারে টানা ২ বলে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন পেসার খালেদ আহমেদ।
ডারবান টেস্টে প্রথম দিনে দারুণ ব্যাটিং করে বড় লিডের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দিনে ৪ উইকেটে ২৩৩ রান জমা করে স্বাগতিকরা। লিড বাড়িয়ে নিতে ব্যাট হাতে নামেন দুই অপরাজিত ব্যাটার টেম্বা বাভুমা ও কাইল ভেরেইনা।
মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিন ও খালেদের পেস দুই ধরনের বলই সহজেই খেলছিলেন এ দুই ব্যাটার।
৮০ ওভার শেষে বাংলাদেশ নতুন বল নেওয়ার পরের ওভারে খালেদকে দুটি চার মারেন বাভুমা।
কিন্তু নিজের পরের ওভারে এসেই যেন প্রতিশোধ নিলেন খালেদ। ৮৩তম ওভারে তার দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন ভেরেইনা।
পরের বলে নতুন ব্যাটার উইয়ান মোল্ডারকে দাঁড়াতেই দেননি খালেদ। তার আউটসুইং ডেলিভারিটি মোল্ডারের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় গালিতে। সেখানে দাঁড়ানো মাহমুদুল হাসান দর্শনীয় এক ডাইভে লুফে নেন সেই ক্যাচ।
খালেদের বলে ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে ফেরেন মোল্ডারকে।
৪ উইকেটে ২৪৫ থেকে স্কোরবোর্ডে দাঁড়ায় ২৪৫/৬।
পরের ডেলিভারিটি কোনো মতে ছেড়ে দিয়ে খালেদকে হ্যাটট্রিকবঞ্চিত করেন কেশব মহারাজ।
পর পর দুই উইকেট হারিয়ে ধীর গতিতে এগুতে থাকেন অর্ধশতক তুলে নেওয়া বাভুমা।
মহারাজকে সঙ্গে নিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের টেস্ট সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না বাভুমার। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকতে মিরাজের ঘূর্ণিজালে ধরাশায়ী হন বাভুমা।
৯৮তম ওভারের শেষ বলে বাভুমা আউট হলে স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৯৮ রান। বলে বাউন্ডারিতে ৯৩ রান করেন এ প্রোটিয়া তারকা।
বাভুমাকে হারিয়ে যেন ক্রিজে থাকতেই চাইলেন না মহারাজ। ৯৯তম ওভারে এবাদত হোসেনের প্রথম ডেলিভারিতেই বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
সূত্র: যুগান্তর