শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই ভারতীয় নাগরিক ও ৪ জন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী কাস্টমস কর্মকর্তার চোখ ফাঁকি দিয়ে টেক্স পরিশোধ না করে লাগেজ নিয়ে পালানোর সময় শুল্ক গোয়েন্দার নজরদারিতে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে।
এ সময় লাগেজ পার্টির প্রায় ৭ লাখ টাকার ভারতীয় বিভিন্ন কাপড় জব্দ করা হয়েছে। পরে ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা লাগেজগুলো জব্দ করে অফিসে নিয়ে যান।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই ভারতীয় নাগরিক সরফরাজ ও জাবেদ খান এবং বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী আব্দুর রহিম, মামুনুর রশিদ, নাঈমুদ্দিন ও রেজাউদ্দিন আগরতলা-আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাদের সঙ্গে বড় বড় ১২টি লাগেজ ছিল। ওই যাত্রীরা কাস্টমস অফিসে পাসপোর্ট এন্ট্রি করে কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় শুল্ক গোয়েন্দা মোস্তাক আহমেদ বিষয়টি টের পেয়ে তাদেরকে আটক করে। পরে কাস্টমস অফিসে নিয়ে গিয়ে তাদের লাগেজ তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্টসহ পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা। ওই যাত্রীরা কাপড়গুলো কলকাতা থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য এনেছিলেন বলে স্বীকার করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে কিছু ভারতীয় এবং বাংলাদেশি নাগরিক ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ কাপড় বাংলাদেশে নিয়ে আসছেন। পরে বন্দর সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ম্যানেজ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কাপড়গুলো নিয়ে যান। অনেক সময় কাস্টমসে প্রবেশ না করে চোরাই পথে চলে যায়। এসব কাপড় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। স্থানীয় কিছু লাগেজ পার্টি এদের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
আখাউড়া কাস্টমস স্থল শুল্ক রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ্ নোমান সিদ্দিকী বলেন, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পালানোর সময় শুল্ক গোয়েন্দা মোস্তাক আহমেদ ওই যাত্রীদেরকে আটক করে। সেগুলো তালিকা করে গুদামে রাখা হয়েছে। নির্ধারিত ট্যাক্স পরিশোধ করে কাপড়গুলি নিতে পারবে। তা না হলে আমরা স্থায়ী ভাবে জব্দ করে গোডাউনে পাঠিয়ে দেব।
সূত্র: দেশ রূপান্তর