শিরোনাম
টানা তিনদিনের ছুটিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে প্রায় চার কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক এবং যাত্রীরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বন্দরের লাঙ্গলবন্দ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড অংশে তীব্র যানজট। অনেকে গন্তব্যস্থলে না গিয়ে বাসায় ফিরে আসছেন। অনেক যাত্রীকে বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এছাড়া বাড়তি ভাড়া আদায় করার অভিযোগও করেছেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুমিল্লা যেতে ২০০ টাকার ভাড়া ২৫০ টাকা, চট্টগ্রাম যেতে নন-এসি গাড়িতে ৪৫০ টাকার পরিবর্তে ৫৫০ টাকা এবং এসি গাড়িতে ৮০০ টাকার ভাড়া ১০০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন বাস কাউন্টার কর্তৃপক্ষ বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও এর নানা কারণ দেখাচ্ছেন। তারা বলছেন, তীব্র যানজটের কারণে তাদের গাড়ি সময়মতো গন্তব্যস্থলে পৌঁছাচ্ছে না। ফলে তারা ভাড়া একটু বেশি নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে সোনারগাঁয়ের মোঘরাপাড়া থেকে সকাল ৮টায় রওনা দেন মাহফুজুর রহমান। এক ঘণ্টায় তিনি মাত্র মদনপুর পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। অথচ অন্যান্য সময় মোঘরাপাড়া থেকে মদনপুর যেতে সময় লাগে ১৫ মিনিট।
আব্দুল্লাহ আল নোমান নামের আরেক যাত্রী জানান, তিনি অফিসের উদ্দেশ্যে চিটাগং রোড থেকে বের হন। তবে তীব্র যানজটের কারণে কাঁচপুরে গিয়েই তাকে ফেরত আসতে হয়েছে।
বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আজিজুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘ফেনী যাওয়ার জন্য দুই ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আুছ। কিন্তু কোনো বাসই পাচ্ছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘টানা তিনদিন ছুটি থাকায় পরিবারকে গতকাল রাতেই ফেনীতে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আজ রাস্তায় যে যানজট দেখছি, তাতে ফেনীতে যাওয়া হবে না আমার।’
তীব্র যানজটের বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম খান বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) রাতে মদনপুরে একটি সড়ক দুর্ঘটনা হয়। এ কারণে এক ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। এছাড়া টানা তিনদিনের ছুটি থাকায় মহাসড়কে বাড়তি গাড়ির চাপ রয়েছে। তবে আশা করছি দুপুরের আগেই যানজট কমে যাবে। যানজট নিরসনে পুলিশের টিম কাজ করে যাচ্ছে।’
সূত্র: জাগো নিউজ