শিরোনাম
মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে নতুন নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নতুন নিয়মে একজন গ্রাহকের প্যাকেজ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডেটা পরের প্যাকেজের সঙ্গে যোগ হবে, যদি গ্রাহক ওই প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর একই পরিমাণের ডেটা প্যাকেজ কেনেন। এ ক্ষেত্রে নতুন নিয়মটি হলো, ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদ হলেও অব্যবহৃত ডেটা যোগ হবে। এত দিন একই মেয়াদের প্যাকেজ কিনলে অব্যবহৃত ডেটা যোগ হতো।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মঙ্গলবার নতুন এই নির্দেশনা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে। নতুন নিয়মের ব্যাখ্যায় বিটিআরসি বলেছে, কোনো গ্রাহক যদি তিন দিন মেয়াদি ৪ জিবি ডেটা প্যাক ক্রয় করেন এবং কিছু ডেটা অব্যবহৃত থাকে, তাহলে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই আরেকটি সমপরিমাণ ৪ জিবির ৩০ দিন মেয়াদি প্যাকেজ ক্রেতা কিনলে অব্যবহৃত ডেটা নতুন প্যাকেজর সঙ্গে যোগ হবে। এ ক্ষেত্রে অব্যবহৃত ডেটার মেয়াদ হয়ে যাবে ৩০ দিন।
বিটিআরসির প্রধান সম্মেলনকক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রত্যেক স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ডেটা ব্যবহার করেন। ভয়েস কল ভুলে যেতে হবে। মানুষ কথা বলবে, কিন্তু মোবাইল নেটওয়ার্ক দিয়ে নয়। শতভাগ ডেটানির্ভর হবে।’ তিনি বলেন, ‘যে অপারেটর এটা বুঝবে না, তিনি মার্কেট (বাজার) থেকে হারিয়ে যাবেন। সেবার মান না থাকলে মানুষ ভুলে যাবে।’
ভবিষ্যতে ফোর-জি ও ফাইভ-জি সেবা পাশাপাশি চলবে জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, সারা দেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে জোর দিতে হবে। প্যাকেজ সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। এসব ডেটা প্যাকেজের মেয়াদ আনলিমিটেড (সীমাহীন) রাখতে অপারেটরের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আরও বলেন, কলড্রপের জন্য গ্রাহকের টাকা ফেরত না দিলে তা প্রতারণার শামিল। কল ড্রপ ও কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিশ্চিতের পাশাপাশি অপারেটরদের ওয়েবসাইট ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভার্সন রাখারও পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
বিটিআরসি বলছে, একটি অপারেটর সর্বমোট ৯৫টি প্যাকেজ চালু করতে পারবে। এর মধ্যে নিয়মিত প্যাকেজ, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ মিলে সর্বোচ্চ ৮৫টি এবং গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ ১০টি প্যাকেজ থাকবে। এ ছাড়া সব প্যাকেজের সময়সীমা হবে ৩, ৭, ১৫ ও ৩০ দিনের। আগে চারটি অপারেটর মিলে মোট প্যাকেজ সংখ্যা ছিল ৬২৯টি, যা বর্তমানে ৩১২টি। ফলে আগের চেয়ে প্যাকেজ সংখ্যা কমেছে ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ।
সূত্র: প্রথম আলো