শিরোনাম
করোনা মহামারিতে টানা দুই বছর বন্ধ ছিল সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। টানা দুই বছর পর মঙ্গলবার খুলেছে প্রাক-প্রাথমিক, আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শুরু হয়েছে পুরোদমে ক্লাস। এ দিনেই তীব্র যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী।
রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক স্থবির হয়ে আছে যানজটে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তীব্র গরম।
সকাল থেকে অভিভাবকদের হাত ধরে সড়কে নামে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরাও সব ক্লাসের প্রস্তুতি নিয়ে বের। এ ছাড়া সময় গড়াতে অফিসমুখী মানুষের ভিড়ও বাড়ে। সব মিলিয়ে আগের কয়েক দিনের যানজট পায় নতুন মাত্রা।
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট রয়েছে শাহীন স্কুল। এর সামনের অচলাবস্থার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কে। ব্যস্ততম বিজয়স্মরণী এলাকার স্থবিরতার প্রভাবে পড়েছে ধানমন্ডি, মোহম্মদপুর, আগারগাঁও, মিরপুর, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজারসহ সব সড়কে। রমনা, মতিঝিল, খিলগাঁও, বনশ্রী, আজিমপুরসহ অন্যান্য সড়কগুলোতেও তীব্র যানজট দেখা গেছে।
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় থেকে পান্থপথে চিকিৎসকের কাছে এসেছেন মফিজুর রহমান। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি জানান, সিএনজি নিয়েও আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। মহাখালী থেকে কয়েকটি পয়েন্টে দীর্ঘক্ষণ সিগন্যালে বসেছিলেন।
ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে কাওয়ানবাজার আসতে দেড় ঘণ্টা লেগেছে বলে জানান মাহবুবুল আলম তারেক। বিজয় স্মরণীর সিগন্যালেই ছিলেন প্রায় এক ঘণ্টা।
অন্যদিকে বাসযাত্রীরাও রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রয়েছে রাস্তায়। এক বাসের চালকের সহকারী মো. সুমন সংবাদমাধ্যমকে জানান, মতিঝিল থেকে তিন ঘণ্টা লাগল ফার্মগেট আসতে। অন্য সময় এক ঘণ্টার বেশি লাগে না।
মঙ্গলবার দুপুরে গুগল ট্র্যাফিক ম্যাপ ঘেঁটে দেখা যায়, রাজধানীর সড়কেই তীব্র যানজটের চিহ্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্র্যাফিক অ্যালার্ট গ্রুপে দেখা গেছে এ নিয়ে বিক্ষুব্ধ পোস্ট।
সূত্র: দেশ রূপান্তর