শিরোনাম
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সিইও সিরাজুল ইসলাম রানাসহ প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাবের একটি দল। গাজীপুর থেকে মঙ্গলবার মাঝরাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ‘গাজীপুরের টঙ্গী থানায় এক গ্রাহকের প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ মামলার আসামি ছিলেন তারা। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।’
টঙ্গী পশ্চিম থানায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি করেন শামীম খান নামে পোশাক কারখানার এক পার্টস ব্যবসায়ী।
মামলাটিতে আসামি করা হয় ধামাকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিমউদ্দিন চিস্তী, চেয়ারম্যান এম আলী ওরফে মোজতবা আলী, সিইও সিরাজুল ইসলাম রানা, প্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা দেবকর দে শুভ, নাজিম উদ্দিন আসিফ, হেড অফ অ্যাকাউন্টস সাফোয়ান আহমেদ, ডেপুটি ম্যানেজার আমিরুল হোসাইন, আসিফ চিশতী, সিস্টেম ক্যাটাগরি হেড ইমতিয়াজ হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম স্বপন ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরোধ বারান রয়কে।
অভিযোগে মামলার বাদী বলেন, ‘গত ২০ মার্চ ধামাকা শপিং ডটকমের ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ভার্চুয়াল সিগনেচার কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কেনার অফার দেয়া হয়। অনলাইনে অফারটি দেখে আমি প্রতিষ্ঠানের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করি। যোগাযোগ করার পর আমাকে জানানো হয়, পণ্য অর্ডার করলে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে। সে অনুযায়ী আমি ৮৪টি ইনভয়েসের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ইনভয়েসে ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করি।
‘প্রতিষ্ঠানটি তার অর্ডার কনফার্ম করে এবং কনফার্ম ইনভয়েস জিমেইল আইডিতে পাঠায়, কিন্তু প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত ৪৫ দিনেও আমার পণ্য সরবরাহ করেনি। ৫০ দিন পর হেল্পলাইনে যোগাযোগ করলে আমাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। এক মাস অপেক্ষা করার পর তাদের প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তার সই করা ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার দুটি চেক দেয়া হয়। ওই চেক নিয়ে টাকা তুলতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, অ্যাকাউন্টে টাকা নেই।’
বাদী আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের সিইও মামলার ৩ নম্বর আসামি সিরাজুল ইসলামের কাছে গেলে তিনি টাকা না দিয়ে তাকে হুমকি দেন। ৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অফিসে গিয়ে দেখি অফিস তালাবদ্ধ।’