শিরোনাম
স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে পৃথিবীর অনেক দেশে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা পায় বাংলাদেশ, যা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশের কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা বিভিন্ন দেশ ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করছে। ওই আলোচনার ফল পাওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়া প্রথম দেশ হিসেবে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা ২০২৬ এর পরও অব্যাহত রাখার সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে রাষ্ট্রদূত এবং বাণিজ্য সচিব পর্যায়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে এবং এর ফলে ওই প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. সুফিয়ুর রহমান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। প্রথম বৈঠক হয়েছে আমার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রী ড্যান তেহানের। দ্বিতীয় বৈঠকটি হয়েছে বাণিজ্য সচিবদের মধ্যে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়ানদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি, এর মাধ্যমে উভয় দেশের চলমান বাণিজ্য সামনের দিনগুলোতে আরও বৃদ্ধি পাবে, যা হবে একটি উইন-উইন অবস্থা।’
কোটামুক্ত ও শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তের তাৎপর্য কী এবং বাংলাদেশের জন্য এর গুরুত্ব কোথায় জানতে চাইলে সুফিয়ুর রহমান বলেন,‘ আমাদের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং সেখানে আমরা এই সুবিধা পেয়ে থাকি। এখন আমরা ইইউ এবং অন্যান্য যেসব দেশ এই সুবিধা দিয়ে থাকে, তাদের বলতে পারবো, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে এই সুবিধা দিচ্ছে, আপনারাও দেন।’
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হবে বাংলাদেশ এবং ওই সময়ের পর কোনও ব্যবস্থা না থাকলে বাংলাদেশের আর শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার কথা নয়।
রাষ্ট্রদূত সুফিয়ুর রহমান বলেন, ‘গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুই দেশের মধ্যে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট (টিফা) সই হবে এবং এর আওতায় একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘ওই জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক হয়েছে গত সপ্তাহে এবং সেখানে বাণিজ্য, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি জানান, কোনও ধরনের বাণিজ্যতে অস্ট্রেলিয়ান সরকার অংশগ্রহণ করে না। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চায় বাণিজ্যটি সরকারিভাবে হোক।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ানদের নিয়ম হচ্ছে, ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাণিজ্য, কিন্তু জ্বালানি খাতসহ অন্যান্য কয়েকটি খাতে বাংলাদেশ সরকারিভাবে ব্যবসা করতে চায়। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর তারা রাজি হয়েছে একটি নতুন মেকানিজম খুঁজে বের করার। যার মাধ্যমে জি-টু-জি ব্যবসা করা সম্ভব হয়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্য থেকে এলএনজি ও জ্বালানি তেল সংগ্রহ করছে। এ বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিয়া থেকে এলএনজি রফতানির জন্য সব পন্থার ওপর আলোচনা করার ব্যাপারে আমরা রাজি হয়েছি।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন