শিরোনাম
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম মতিউর রহমানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এম মতিউর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতিও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এম মতিউর রহমান উপজেলা পরিষদ এলাকার বাসভবন থেকে সরকারি গাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অসুস্থ ছেলেকে দেখতে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে যাচ্ছিলেন।
এ সময় উপজেলা পরিষদের সামনে চেয়ারম্যানের গাড়ি থামিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী সজীব হাওলাদারসহ তিনজন চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সজীব হাওলাদার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের ওপর হামলা করেন। তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়। এতে চেয়ারম্যান মতিউর রহমান আহত হন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম মতিউর রহমান বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ছেলে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি। তাকে দেখতে সোমবার রাতে আমি বাসা থেকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে যাওয়ার পথে আমার গাড়ি থামিয়ে সজীব হাওলাদারসহ তিন থেকে চারজন আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার গাড়িও ভাঙচুর করে।’
অভিযুক্ত সজীব হাওলাদারের সঙ্গে থাকা উত্তম কুমার বলেন, ‘আমি কয়েক মাস আগে সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। ঘর বরাদ্দ না পাওয়ায় সজীব হাওলাদারকে নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে গেলে তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এ সময় সজীবের সঙ্গে চেয়ারম্যানের মারামারি হয়।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সজীব হাওলাদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘সজীব ছাত্রলীগে কেউ নন। তিনি কখনো ছাত্রলীগ করেছেন কি না তাও আমার জানা নেই। তবে আমার জানা মতে সে সারা দিন মাস্তানি করে বেড়ায়।’
ইউএনও লুৎফুন্নেসা খানম বলেন, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির ওপর এ ধরনের হামলা ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের মতো ঘটনা নিন্দনীয়। এ ঘটনায় থানায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, বিষয়টি শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: জাগো নিউজ