শিরোনাম
একই ঘরে স্বামীর লাশের পাশে দুদিন ধরে শুয়েছিলেন বৃদ্ধা স্ত্রী। তাদের সন্তান পাশের ঘরে থাকলেও জানত না যে বাবা মারা গেছেন।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম রোকনুদ্দীন আহমেদ। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক ছিলেন বলে জানা গেলেও কোন সময়কালে তিনি শিক্ষকতা করতেন, তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
রোকনুদ্দীনের স্ত্রী নীলুফার ইয়াসমিনকে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই বাসায় ছিলেন তাদের ছেলে শাহরিয়ার আহমেদ রূপম (৪০)। তার আচরণ অস্বাভাবিক।
রূপম পুলিশকে বলেছেন, দুদিন আগে তিনি তার বাবা-মাকে তাদের ঘরে গিয়ে দেখে এসেছিলেন। তখন তারা শুয়ে ছিলেন। সোমবার দুর্গন্ধ পেয়ে ওই ঘরে গিয়ে দেখেন যে তার বাবা মৃত, শরীর ফুলে গেছে। পাশেই শোয়া তার মা প্রায় অচেতন।
রুপম তখন ফোন করে প্রতিবেশীকে ঘটনাটি জানালে তারা থানায় খবর দেয়। তখন পুলিশ যায় সেই বাড়িতে। পল্লবী থানার এসআই শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পল্লবী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শাহ কামাল বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত ৩৬ ঘণ্টা আগে রোকনুদ্দীনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের ছেলে রুপমের বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা শাহ কামাল বলেন, কথা বলে এবং আচরণে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, তার এই সন্তানটি শারীরিক এবং মানসিকভাবে বেশ অসুস্থ।
এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।