শিরোনাম
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভূমিকম্পে কাঁপলো এশিয়ার অন্তত ছয়টি দেশ। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ভারত-মিয়ানমার-বাংলাদেশ দিয়ে শুরু, এরপর একে একে যোগ হয়েছে জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়াও। এর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কিয়ুশু দ্বীপে আঘাত হানে এ ভূকম্পন। এতে রাস্তাঘাটসহ বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে’র বরাতে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের আশপাশের পাঁচটি অঞ্চলে মানুষজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পাথরধস, গাছ উপড়ে পড়া ও পানির পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওইতা ও মিয়াজাকি এলাকার বেশ কিছু সড়ক শনিবার সকালেও বন্ধ ছিল।
জাপান আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৫ কিলোমিটার গভীরে। তবে এতে সুনামির আশঙ্কা দেখা যায়নি। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ওই এলাকায় এখনো শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে পাথর বা ভূমিধস দেখা দিতে পারে। সবাইকে এগুলো থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জাপানের মতো শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপেছে ইন্দোনেশিয়াও। বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দেশটিতে আঘাত হানে এ ভূকম্পন। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা ও ভূপদার্থবিদ্যা সংস্থার বরাতে চীনা বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় সুলাওয়েসি প্রদেশে শক্তিশালী এ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল মেলোঙ্গুয়ান শহর থেকে ৩৯ কিলোমিটার দূরে ও ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২ কিলোমিটার গভীরে।
তবে এই ভূমিকম্পেও কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার এশিয়ার আরেক দেশ ফিলিপাইনেও তীব্র ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশ সময় ভোররাত ৩টার দিকে দেশটিতে আঘাত হানে এ ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৪।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ফিলিপাইনের বাগাঙ্গা শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে ও কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১৩ কিলোমিটার গভীরে। এর প্রভাবেও কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, শুক্রবার ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে আঘাত হানে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প। এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশেও। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ১২ মিনেটে আঘাত হানে এ ভূকম্পন।
ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের (ইএমএসসি) তথ্যমতে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ভারতের আইজল শহর থেকে ১৪০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে এবং মিয়ানমারের ফালাম শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০ কিলোমিটার গভীরে। উৎপত্তি ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে হলেও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বের এলাকাগুলোতে ভূমিকম্পের প্রভাব টের পাওয়া গেছে।