শিরোনাম
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আগামীকাল সোমবার ( ১ নভেম্বর) শুরু হতে যাচ্ছে জলবায়ুবিষয়ক ২৬তম শীর্ষ সম্মেলন কপ২৬। এবারের সম্মেলনে ধরিত্রী রক্ষায় ধনী দেশগুলোর করণীয় কি তা প্রকাশ পাবে। ২০৩০ সালের মধ্যে দুইশটির মতো দেশ কার্বন নিঃসরণ কতটা কমাবে, সেই পরিকল্পনা সেখানে তুলে ধরার কথা রয়েছে। সে কারণে এক ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর ওপর। সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা
বিগত কয়েক বছরে মানব সৃষ্ট বিভিন্ন কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যয় ঠেকাতে বারবার জরুরি ভিত্তিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন বিজ্ঞানীরা।
সম্মেলনের প্রথম দিন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ( ডব্লিউএমও) তাদের প্রতিবেদন তুলে ধরবে। সংস্থাটির আগের প্রতিবেদনে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করে বলেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি চলতি বছরে অনেক বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অতিরিক্ত তাপমাত্রা, তাপপ্রবাহ, বন্যা ও দাবানলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কপ২৬ সম্মেলনে অংশ নিতে রোববার ( ৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গ্লাসগোতে পৌঁছে যাবেন বিশ্ব নেতাদের অনেকেই। অনেকে আবার ইতালির রোম থেকে জি-২০ সম্মেলন শেষে যুক্ত হচ্ছেন কপ২৬ সম্মেলনে।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শুরু হওয়া কপ২৬ সম্মেলনকে প্যারিস চুক্তি-পরবর্তী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সম্মেলন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এতে নতুন ঘোষণা দিতে পারেন বাইডেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করছে, চীন বাতাসে ছড়াচ্ছে তার দ্বিগুণ গ্যাস। তবে ঐতিহাসিকভাবে বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি গ্যাস নিঃসরণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের টার্গেট পূরণে কপ২৬-এ জলবায়ু নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা পেশ করবে বেইজিং।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে নতুন করে কোনো চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ।