শিরোনাম
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ তৈরি হওয়ার মাধ্যমে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরমধ্যে গরম বেড়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে তাপপ্রবাহ। দেশের পাঁচ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে এ তাপপ্রবাহ তীব্র হয়েছে।
সোমবার (৮ মে) তীব্র গরমে হাঁসফাঁস উঠেছে জনজীবনে। যেন লু হাওয়া বইছে। গরমে ঘরেও টেকা যাচ্ছে না।
এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকার তাপমাত্রাও ছিল ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। বৃষ্টিহীনতায় ঢাকায়ও দুঃসহ গরম অনুভূত হচ্ছে। আজ ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তিনি জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এসময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
রাজশাহী, নেত্রকোনা, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়া জেলার ওপর তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান ওমর ফারুক।
আগামী দুদিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, আগামী পাঁচদিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমতে পারে এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আগামীকাল মঙ্গলবার আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবারের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নিতে পারে।