শিরোনাম
বজ্রপাতে বৃহস্পতিবার (৪ মে) তিন জেলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নরসিংদীতে তিনজন করে মারা গেছেন। বগুড়ায় মারা গেছেন একজন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা, শাজাহানপুর ও দেবীনগর ইউনিয়নে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সোনাপট্টি গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে রফিক উদ্দিন (৩৫), শাহজাহানপুর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ও দেবীনগর ইউনিয়নের মোজাম্মেলের ছেলে ইসারুল (৪২)।
পুলিশ জানায়, চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সোনাপট্টি গ্রামের রফিক উদ্দিন পাশের একটি জমিতে ধান কাটছিলেন। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ইসারুল ইসলাম পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সেখানে বজ্রপাত হলে তিনিও ঘটনাস্থলে মারা যান। স্থানীয় চাঁদতারা মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে মারা যান জাহাঙ্গীর আলম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সন্ধ্যার দিকে জেলায় ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় তিন ইউনিয়নে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আইনি কার্যক্রম শেষে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
নরসিংদী
নরসিংদীর রায়পুরা ও বেলাবোতে বজ্রপাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। দুপুরে রায়পুরার অলিপুরা ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামে ও বেলাবো উপজেলার চর লক্ষ্মীপুর গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রায়পুরার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আহাদ মিয়া (২১) ও একই গ্রামের বাছেদ মিয়ার ছেলে রানা মিয়া (২০)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একই গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে শিমন মিয়া (২০)। নিহত অপরজন হলেন বেলাবো উপজেলার চর লক্ষ্মীপুর নামাপাড়া গ্রামের তাজু মিয়ার স্ত্রী হেলেনা বেগম (৩৮)।
এলাকাবাসী ও নিহত রানার বড় ভাই রুবেল মিয়া জানান, আহাদ, রানা ও শিমন তিন বন্ধু ঢাকায় একটি শপিং ব্যাগ তৈরির কারখানায় কাজ করেন। ঈদের ছুটিতে তারা বাড়িতে আসেন। দুপুরে তারা তিন বন্ধু ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য স্থানীয় বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। ওই সময় তাদের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহাদ ও রানাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শিমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে হেলেনা বেগম ঘাস খাওয়ানোর জন্য ছাগল নিয়ে মাঠে গিয়েছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
বগুড়া
বগুড়ার আদমদীঘিতে ধানক্ষেতে বজ্রপাতে ছোলায়মান আলী (৪৩) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের বাগিচা পাড়া গ্রামে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। নিহত ছোলায়মান আলী ওই গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামিম-উল ইসলাম বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ছোলায়মান আলীসহ চার কৃষক বাগিচাপাড়া গ্রামের মাঠে ধান কাটছিলেন। এসময় বজ্রপাতে ছোলায়মান আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে সেখানে অন্য কৃষকদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।