শিরোনাম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপের পর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এজন্য সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে- নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এরপর বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল নাগাদ এটি ভারতের উত্তর তামিলনাড়ু-পুন্ডুচেরি ও কাছাকাছি অন্ধ্র্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘ম্যানদৌস’। এটি আরব আমিরাতের দেওয়া নাম। এ ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে- দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে। এটি হবে একটি দুর্বল প্রকৃতিক ঘূর্ণিঝড়। এর বাতাসের গতি সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার হতে পারে।