শিরোনাম
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস দশায় পড়েছে মানুষ। নগর ছাড়িয়ে গ্রাম, সর্বত্র গরমের তীব্রতায় ভুগছে মানুষ। এই গরমের কারণে নারী-শিশুরা যেমন ভুগছে, তেমনি ভুগছে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, হকারসহ কর্মজীবীরা। এর মধ্যে লোডশেডিং ঘটলে ভোগান্তি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদুল আজহার ছুটির আমেজের কারণে সড়ক অনেকটাই ফাঁকা। তবে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে রাস্তাঘাটে যে চলাচল থাকার কথা, সেই চলাচলও দেখা যায়নি বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই)। দুপুরের কড়া রোদ এড়াতে রাস্তাঘাটে একেবারেই কম বেরিয়েছে মানুষ।
একান্ত প্রয়োজনে যারা বেরিয়েছেন, তাদের কারও কারও হাতে ছাতাও দেখা গেছে। অনেককে দেখা গেছে, ফুটপাতের আখের রস, বেল বা লেবুর শরবতে গলা ভিজিয়ে নিতে।
প্রগতি সরণির নতুন বাজারে ফেরি করে লেবুর শরবত বিক্রি করেন মো. ইদ্রিস। তিনি বলেন, ঈদের ছুটির কারণে রাস্তায় লোকজন কম। তবু লেবুর শরবত বিক্রি খারাপ নয়। এই গরমে মানুষ একটু ঠান্ডা শরবত খেয়ে শরীর শীতল করে নিতে চায়।
বাড্ডা থেকে পল্টনে যেতে রাস্তায় গাড়ির অপেক্ষায় একটি প্রকাশনীর কর্মী আতাউল ইসলাম। তিনি বলেন, যে গরম পড়েছে, ভেবেছিলাম বের হবো না। কিন্তু একটা বইয়ের প্রুফ (বানান-বাক্যে ভুল সংশোধন) দেখেছি, সেটা জমা দিতে হবে, তাই এই গরমের মধ্যেও বের হতে হলো। বাসা থেকে বেরিয়েই ঘেমে-নেয়ে অস্থির। যেভাবে গরম পড়ছে, এখন বৃষ্টি না হলে মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে কদিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহের কারণেই এমন গরম অনুভূত হচ্ছে।
গরমের এই তীব্রতার কারণে এখন সবাই বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা সহনীয় হয়ে উঠবে বলে সবাই আশা করে আছেন। যদিও আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টির অপেক্ষা আরও দু-একদিন করতে হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ থাকতে পারে আরও দুই তিন দিন।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। তবে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, একই সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হাতিয়ায় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সূত্র: জাগো নিউজ