শিরোনাম
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ায় পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৫ জুন) রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি ছিল। এ সময়ে রাজশাহী বিভাগে কোনো বৃষ্টি হয়নি। বরিশাল ও খুলনা বিভাগেও হালকা বৃষ্টি হতে শুরু করেছে। তাই খুলনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ দূর হয়েছে।
গতকাল ঢাকার আকাশে ঘন মেঘের আনাগোনা থাকলেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় এখনো ভ্যাপসা গরমের অস্বস্তি রয়েছে।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ঢাকায় এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে শ্রীমঙ্গলে, ৫৯ মিলিমিটার।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
ভারি বর্ষণের সতর্কবাণীতে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোরর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।