বজ্রপাত থেকে রক্ষায় দুই মন্ত্রণালয়ের একই ধরনের প্রকল্প

ফানাম নিউজ
  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:০৩

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে বজ্রপাতে প্রাণহানি বাড়ছে। বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সময়কে বজ্রপাতের মৌসুম ধরা হয়। গত বছরও এ (মার্চ-জুন) চার মাসে দেশে বজ্রপাতে ১৭৭ জনের মৃত্যু হয়। বছরের ১০ মাসে (১ জানুয়ারি-৬ নভেম্বর পর্যন্ত) মারা যান ৩২৯ জন। গেল নভেম্বরে পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এক জরিপে এসব তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি আরও জানায়, ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গত ১১ বছরে দেশে বজ্রপাতে ২ হাজার ৮০০ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। বজ্রপাতে মৃত্যু বাড়ায় ২০১৬ সালে সরকার এটিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে।

বজ্রপাতে মৃত্যু বাড়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মোবাইল ফোন ব্যবহার বৃদ্ধি, অতিরিক্ত জনঘনত্ব ও বজ্রপাত মৌসুমে মাঠে-ঘাটে এবং জলাশয়ে মানুষের কর্মক্ষেত্রে সম্পৃক্ততা বেশি হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণার পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নজরদারি বেড়েছে। এতে উঠে আসছে মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য। বজ্রপাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে অবকাঠামোগত প্রস্তুতির পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রতি বছর ধান কাটার মৌসুমে হাওরাঞ্চলে বজ্রপাতে বহু কৃষকের প্রাণহানি হয়। এ থেকে কৃষকসহ অন্যান্য মানুষকে রক্ষায় একটি প্রকল্প নিচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। একই রকম প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ও। দুটি প্রকল্পের মাধ্যমেই বজ্রনিরোধক যন্ত্র স্থাপন এবং মোবাইল অ্যাপ, মোবাইল ভয়েস ও মোবাইল টেক্সট মেসেজের সাহায্যে বজ্রপাত আঘাত হানার আগে কৃষকসহ অন্যান্যদের সতর্ক করা হবে। একইসঙ্গে দুই মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পেই জনসচেতনতার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার বজ্রপাতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করার পরই এ নিয়ে কাজ করা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কার্যপরিধিভুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষকদের সুরক্ষা দেওয়ার কাজ কৃষি মন্ত্রণালয়ের। তাই কৃষকদের জন্য যে কোনো প্রকল্প মন্ত্রণালয় নিতে পারে। উল্লিখিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা কমে আসবে বলেও মনে করছে উভয় মন্ত্রণালয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘হাওরাঞ্চলে কৃষকদের জীবনের সুরক্ষায় বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা স্থাপন’ শীর্ষক প্রস্তাবিত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩১ কোটি টাকা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা, এটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যালোচনা সভা করে কৃষি মন্ত্রণালয়। সভায় অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্প দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের মতোই। এটি দ্বৈততা সৃষ্টি করবে। এছাড়া এ কাজ দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের হাওরাঞ্চলসহ বজ্রপাতপ্রবণ ২৩ জেলায় ‘লাইটার অ্যারেস্টার’ সংবলিত বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের ছাউনি (শেল্টার) নির্মাণে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে (পাইলট প্রকল্প) হাওর এলাকায় ১ কিলোমিটার পরপর ১ হাজার বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের ছাউনি নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ছাউনির সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এছাড়াও বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম ও জনসচেতনতা বাড়ানোর বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

হাওরাঞ্চলে এক কিলোমিটার পরপর নির্মাণ করা হবে বজ্রপাত-নিরোধক এক হাজার কংক্রিটের ছাউনি। মেঘের গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজ পেলেই মাঠের কৃষকসহ মানুষজন এসব শেল্টার ছাউনিতে আশ্রয় নিতে পারবে। প্রতিটি শেল্টারে ‘লাইটার অ্যারেস্টার’ বসানো হবে। আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম, অর্থাৎ বজ্রপাতের ৪০ মিনিট আগেই সংকেত দেবে সেই যন্ত্র। মোবাইলের মাধ্যমে এ সতর্কবার্তা মাঠের কৃষকসহ সবার কাছে পৌঁছে যাবে। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় জনসচেতনতা বাড়ানো হবে বলেও জানান ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

অপরদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটি হাওরাঞ্চলের সাতটি জেলার ৫৮টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। হাওর এলাকার চারটি উপজেলার কৃষিজমিতে পাইলট আকারে ১০০ থেকে ১২০ বর্গমিটার ব্যাসার্ধের ১৬টি আর্লি স্টিমার ইমিটার (ইএসই) নামক বজ্র-নিরোধক স্থাপন করা হবে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে হাওরাঞ্চলে ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ নেটওয়ার্ক থেকে পাওয়া প্রস্তাবনা অনুযায়ী ‘আর্থ নেটওয়ার্কস লাইটিং অ্যান্ড সিভিয়ার ওয়েদার আর্লি ওয়ার্নিং সল্যুশন’ এর মাধ্যমে সেন্সরভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় ‘ক্লাউড টু গ্রাউন্ড’ এবং ‘ক্লাউড টু ক্লাউড লাইটনিং ডিটেকশন সিস্টেম’- যা মোবাইল অ্যাপ, মোবাইল ভয়েস ও মোবাইল টেক্সট মেসেজের সাহায্যে বজ্রপাত আঘাত হানার সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিট আগে প্রকল্প এলাকার কৃষকদের সতর্ক করবে। একইসঙ্গে কৃষকসহ প্রকল্প এলাকার মানুষকে সচেতন করার কাজও করা হবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পের আওতায়।

প্রকল্পের বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মো. আবদুর রৌফ বলেন, ‘এটা আমাদের ম্যান্ডেট না, আমরা হয়তো করতে পারবো না। তবে প্রকল্পের সবকিছু খতিয়ে দেখার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। আপনি সেখানে কথা বলুন।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইংয়ের কৃষি অর্থনীতিবিদ রেহানা সুলতানা বলেন, ‘২০১৯ সালে পরিকল্পনামন্ত্রী আমাদের সচিবকে (কৃষি মন্ত্রণালয়) নির্দেশনা দেন। মূলত কৃষক সংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় কৃষি মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় এটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবে। কারণ, মাঠ পর্যায়ে অধিদপ্তরের জনবল রয়েছে। হাইলি টেকনিক্যাল প্রকল্প হওয়ায় এটি নিতে আমাদের দেরি হয়েছে। আমরা দেশে-বিদেশে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে প্রকল্পটি নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি, আমেরিকান ও কানাডিয়ান বজ্রপাত নিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। ডিজাইন করা হয়েছে। সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের বিষয়ে মোটামুটি সবাই ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।’

কৃষি অর্থনীতিবিদ রেহানা সুলতানা আরও বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় এক কিলোমিটারের মধ্যে দুটি করে অ্যারেস্টার বসাবো। বজ্রটা মাটির ২৫ মিটার গভীরে চলে যাবে। এখানে যে পরিমাণ হিউজ ক্যাম্পেইন করতে হবে, তার জন্য পর্যাপ্ত জনবল তো তাদের (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়) নেই। তা আমাদের আছে। তাদের ডিপিপি আমরা দেখেছি, সেখানে লাইটনিং অ্যারেস্টার নেই। তারা শেল্টার করবে এবং একটা পূর্বাভাস দেবে। তারা শেল্টার করবে বলে আমাদের প্রকল্পে শেল্টার রাখছি না। একই জিনিস দুটো হতে পারে না।’

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প পর্যালোচনা সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সাধারণ মানুষদের দুর্যোগ থেকে সুরক্ষার জন্য দুটি প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এর মধ্যে একটি পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে এবং অপরটি ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির সবুজপাতাভুক্ত। যেটির ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলমান। পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো ডিপিপির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়েছে। মূলত বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় তা থেকে রক্ষা বা আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া এবং আন্যান্য দুর্যোগ থেকেও সবাইকে রক্ষা ও দুর্যোগ পরবর্তী পুনর্বাসন সংক্রান্ত সব কাজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ম্যান্ডেট (কোনো কাজ করার দায়িত্বপ্রাপ্ত)।

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত এ প্রকল্পটির কার্যক্রম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রক্রিয়াধীন প্রকল্পের সঙ্গে দ্বৈততা সৃষ্টি করবে কি না, তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।

ওই কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, বজ্রপাত ও এ সংক্রান্ত বিষয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ম্যান্ডেট। ফলে প্রকল্পটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ডিএই (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর)’র মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সমীচীন হবে কি না, তা খতিয়ে দেখা যেতে পারে।

এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, অডিট, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-৩, এনডিআরসিসি) রবীন্দ্রনাথ বর্ম্মন বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় তাদের প্রকল্প নিয়ে মিটিং করেছিলো, আমাদের কর্মকর্তা সেখানে মতামত তুলে ধরেছেন। এটা আমাদেরই করার কথা। ম্যান্ডেটটা হলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের। কৃষি মন্ত্রণালয়ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করেনি, আমরাও এখনো করিনি। আমাদের প্রকল্প এখনো পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়নি। আমরা দ্রুতই এটি পাঠাবো।’

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বজ্রপাতে ২০১১ সালে মারা গেছেন ১৭৯ জন, ২০১২ সালে ২০১ জন, ২০১৩ সালে ১৮৫ জন, ২০১৪ সালে ১৭০ জন, ২০১৫ সালে ১৬০ জন, ২০১৬ সালে ২৬৩ জন, ২০১৭ সালে ৩০১ জন, ২০১৮ সালে ৩৫৯ জন, ২০১৯ সালে ১৯৮ জন, ২০২০ সালে ২১১ জন এবং ২০২১ সালে মারা গেছেন ৩৬৩ জন।

গত বছর হাওর অধ্যুষিত দেশের সাত জেলায় বজ্রপাতে ৬৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জে ১৭, নেত্রকোনায় ১৬, হবিগঞ্জে ১২, সুনামগঞ্জে ১২, সিলেটে ৮, মৌলভীবাজারে ১ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন মারা যান বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে।

সূত্র- জাগো নিউজ

আবহাওয়া এর পাঠক প্রিয়