শিরোনাম
দেশের বিজ্ঞানীরা অনাবাদী পতিত জমিগুলো আবাদের আওতায় আনতে আউশ ধানের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক।
চাষিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা স্বল্প জীবনকালসম্পন্ন অধিক ফলনশীল জাতগুলো রবি ফসল কর্তনের পরেই আবাদ করবেন।
রোববার (১৫ মে) দুপুরে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বারে ও বিএডিসি খামারে সয়াবিন, ভুট্টা ও সূর্যমুখীর মাঠ পরিদর্শন এবং কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, চাষাবাদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও সহযোগিতা দিতে বিএডিসি বীজ, সার ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করছে।
পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে আবদুর রাজ্জাক বলেন, খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই ও আরও মজবুত করতে চরাঞ্চল, উপকলীয় লবণাক্ত ও পাহাড়ি এলাকার জমিও চাষের আওতায় আনতে হবে। কোনো জমি অনাবাদী রাখা যাবে না। পতিত জমিতে যারা চাষ করবে, তাদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
এ ছাড়াও বিএডিসি’র চুক্তিবদ্ধ চাষিদের সয়াবিন বীজ ফসলের মাঠ পরিদর্শনে মন্ত্রী চরাঞ্চলে অবস্থিত অনাবাদি পতিত জমিতে তেল জাতীয় ফসল যেমন- সয়াবিন, সুর্যমুখী ও সরিষার আবাদ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, তেল জাতীয় ফসল আবাদে উৎপাদন খরচ কম এবং লাভ বেশি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
সূত্র: আরটিভি