শিরোনাম
কুমিল্লায় নগরজুড়ে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী।
শুধু রাতেই নয়, দিনের আলোতেও মশার যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে নগরীর বাসিন্দাদের। গত ১৫ দিনে কুমিল্লায় মশা অনেক হারে বেড়েছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, নগর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর যথাযথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান না থাকায় দিন দিন মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। এতে চলমান রমজান ও তারাবির নামাজে মুসল্লিদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে নগরীর সবকটি ড্রেনের অচলাবস্থার কারণে মশার উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। ড্রেনের বদ্ধ জলাশয় ও ময়লা-আবর্জনায় শুধু মশাই বাড়ছে না, অন্যান্য রোগবালাইও বৃদ্ধি পেতে পারে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, কুমিল্লা নগরজুড়ে ব্যাপকহারে বেড়েছে মশার উৎপাত। নগরীর প্রতিটি অলিগতিই চলছে মশার উপদ্রব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। সবকটি আবাসিক ভবন তথা অফিস আদালতেও দিনের আলোতেই মশা উৎপাত করছে। বিশেষ করে নগরীর ড্রেন গুলোর পাশের বাড়িঘর এবং অফিস-আদালতের বাসিন্দারা এ উপদ্রব বেশি ভোগ করতে হচ্ছে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাস, অশোকতলা, বজ্রপুর, শাসনগাছা, চর্থা, টমছমব্রিজ, বাগানবাড়ী, মদিনা মসজিদ সড়ক, ঠাকুরপাড়া, বিসিক শিল্পনগরী, বাগিচাগাঁও, রেইসকোর্স, ছেটরা, চকবাজার, রাজগঞ্জ, চাঁনপুর, মৌলভীপাড়া, শুভপুর, মোগলটুলী, ফৌজদারি এলাকায় মশার উৎপাত মাত্রা ছাড়িয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মশার এ যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে বাসিন্দারা বাসাবাড়িতে দিনের বেলাতেই মশারি ব্যবহার করছে।
দিনেরবেলায় লাইট লাগিয়ে রাখলেও মশার আক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেক ভক্তভোগী। তাই এ যন্ত্রণা থেকে বাঁতে অনেকেই দিনেরবেলায় মশারি ব্যবহার করছে।
নগরীর মোগলটুলী এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন, কবির হোসেন, পারভেজ, আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, মশার উপদ্রবে এলাকার মানুষ চরম অতিষ্ঠ। বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনে অভিযোগ করা হলেও তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এলাকায় মশার উপদ্রব সম্পর্কে মেয়র অবগত হলেও এ নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
ঠাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আক্তার হোসেন, ইকবাল মাহমুদ, জাবেদ হোসেন, জালাল উদ্দিন জানান, রাতের কথা বাদ দিলাম, দিনের বেলাতেই মশারি টাঙিয়ে শুতে হয়, বাচ্চাদের পড়ার টেবিলের নিচে মশার কয়েল জ্বালিয়ে দিতে হয়।
তারা জানান, এলাকায় ড্রেনগুলোতে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ হয়ে আছে, আর এসব ড্রেন থেকে মশা মাছিসহ নানা কীটপতঙ্গের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে মশার উপদ্রবের পাশাপাশি রোগবালাই বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ইতিপূর্বে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে, আমরা নিয়মিতই ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার রাখছি। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শিডিউল অনুসারে নগরীর সব এলাকাতেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ফগার মেশিন দিয়েও মশা নিধনের কাজ অব্যাহত রয়েছে। তারপরেও বাসিন্দাদের কোনো অভিযোগ থাকলে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে।
সূত্র: যুগান্তর