শিরোনাম
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে একদিনের মাথায় আবারো দেখা মিললো মৃত কচ্ছপের। যার ওজন আনুমানিক ৩০-৩৫ কেজি।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের পর্যটন পার্ক সংলগ্ন এলাকায় কচ্ছপটি দেখতে পান কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য জুয়েল রানা।
তিনি বলেন, সৈকতের জিরো পয়েন্টের পর্যটন পার্ক সংলগ্ন কচ্ছপটি জোয়ারের সঙ্গে ভাসতে দেখে অন্য সদস্যদের জানানো হয়। পরবর্তীতে তারা এসে কচ্ছপটিকে উদ্ধারের পর মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
পটুয়াখালী জেলা ইউএস-এইড/ইকো-ফিস ২, ওয়ার্ড ফিস বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, বেশ কয়েকদিন যাবত উদ্বেগজনকভাবে মৃত কচ্ছপ ভেসে আসছে তবে এটার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। আমরা যেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি সেগুলোর শুধুমাত্র ডিএনএ বারকোডিং আসে অর্থাৎ তার জাত নির্ধারণ করা যাচ্ছে। কিন্তু কী কারণে মারা যাচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, গত ৩ এপ্রিল কচ্ছপের মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করতে আমরা গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করা জেলেদের সঙ্গে বৈঠক করি। একই সঙ্গে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করি। তারা একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। কেউ বলছেন ছোট জালে, কেউ বলছেন লম্বা জালে এগুলো আটকাচ্ছে। তবে সার্বিকভাবে মনে হচ্ছে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারের ট্রলিং জালে বেশি মারা পড়ছে কচ্ছপগুলো। আমরা আরও কিছু নতুন পদ্ধতির দিকে ধাবিত হচ্ছি। যাতে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করা যায়।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, আজকে যে কচ্ছপটি এসেছে তার বৈজ্ঞানিক নাম লেপিডোসেলিম ওলিভাসিয়া। এটা একটি পুরুষ কচ্ছপ। গতকালও একটি মা কচ্ছপ মৃত পাওয়া যায়।
পটুয়াখালী জেলা উপ-বিভাগীয় বনসংরক্ষক তারিকুল ইসলাম বলেন, কচ্ছপ মারা যাওয়ার প্রাথমিক কারণ হিসেবে জেলেদের অসচেতনতা ও সামুদ্রিক ভারসাম্য নষ্টের বিষয়টি হতে পারে। তবে সঠিক কারণ জানার জন্য আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
গত দুই মাসে কুয়াকাটা সৈকতে প্রায় ১১টির বেশি ডলফিন, কচ্ছপসহ সামুদ্রিক মৃত প্রাণীর দেখা মিললো। সূত্র: জাগো নিউজ