শিরোনাম
রাজধানীর সবুজবাগের একটি বাসায় দুই শিশুসন্তানের মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে রেখে তাদের মাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সবুজবাগের বেগুনবাড়ীর দক্ষিণগাঁওয়ের সালাম মাস্টার সড়কের মজিবর সাহেবের চারতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পাশে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো অবস্থায় পড়ে ছিল তার দুই শিশু।
সবুজবাগ থানার পরিদর্শক মু. মোরাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহতের নাম - মুক্তা আক্তার (২৬)। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরে। মুক্তার স্বামী মাইনুল ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত। চাকরির সুবাদে তিনি সেখানেই থাকেন। মুক্তা দুই সন্তান নিয়ে সবুজবাগের এই বাসায় ভাড়া থাকতেন। তার বড় সন্তানের বয়স তিন বছর। ছোট সন্তানের বয়স দশ মাস ।
কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত করা যায়নি এখনো। পুলিশের ধারণা, এসি মেরামত করতে আসা কেউ হয়ত তাকে খুন করে থাকতে পারে।
ঘটনার বিষয়ে সবুজবাগ থানার পরিদর্শক মু. মোরাদুল ইসলাম বলেন, শনিবার বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা মুক্তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে এবং লুটপাট করে চলে যায়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট তদন্তে নেমেছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। নিহতের স্বামী খবর পেয়ে ফরিদপুর থেকে রওনা করেছেন। তদন্ত চলছে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
সবুজবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আজগর আলী বলেন, ধারণা করছি বিকালের দিকে এক সময় দুর্বৃত্তরা এসে মুক্তাকে কুপিয়ে হত্যা করে রেখে গেছে। নিহতের পিঠে ও গলায় জখমের দাগ রয়েছে।মুক্তার দুই সন্তান যেন চিৎকার করতে না পারে সেজন্য তাদের মুখ বেঁধে রেখে গিয়েছিল তারা।
সূত্র: যুগান্তর